বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফাইনালের আগে প্রস্তুতি পরীক্ষা নিলেন ইউএনও

  •    
  • ৯ জুন, ২০২২ ১০:২৪

অষ্টগ্রামের ইউএনও হারুন অর রশিদ বলেন, ‘এসএসসি’র প্রস্তুতি পরীক্ষার আয়োজনে সরকারি কোনো নির্দেশনা ছিল না। শিক্ষার্থীদের উপকারের জন্যই স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এমন উদ্যোগ নিয়েছি।’

নয় দিন পরে শুরু হচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা। স্কুল জীবনের সবগুলো পরীক্ষা নিজের স্কুলে হলেও এসএসসি পরীক্ষার সিট পড়ে ভিন্ন ভিন্ন স্কুলে। এতে নতুন স্থানে পরীক্ষা দেয়া নিয়ে মানসিক চাপে থাকে শিক্ষার্থীরা।

পরীক্ষার্থীদের সেই চাপ দূর করতে ও মেধা যাচাইয়ে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলা প্রশাসন।

এসএসসির প্রস্তুতি পরীক্ষার আয়োজন করেছেন অষ্টগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হারুন অর রশিদ। এমন উদ্যোগ নেয়ায় প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বুধবার সকালে উপজেলার ২টি ইউনিয়নে ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১ হাজার ৫৭ জন এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থী প্রস্তুতিমুলক এই পরীক্ষায় অংশ নেয়। এই পরীক্ষার একটি কেন্দ্রের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এমন উদ্যোগকে সেখানেও স্বাগত জানিয়ে প্রসংশা করছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, আগামী ১৯ জুন এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তাই শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই করতে এবার গণিত ও ইংরেজি এ দুটি বিষয়ে ৩ ঘণ্টাব্যাপী ১০০ নম্বরের দুটি পরীক্ষা নেয়া হয়।

উপজেলার (খয়েরপুর-আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নে ১টি ও অষ্টগ্রাম সদর ইউনিয়নে ৩ কেন্দ্রে) দুই ইউনিয়নের ৪টি কেন্দ্রে উপজেলার ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ১ হাজার ৫৭ জন শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করে। পরীক্ষায় উপজেলার ৯৮ ভাগ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

সকালে বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা।

এ সময় হুমায়ুন কবির নামে একজন অভিভাবক বলেন, ‘এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রস্তুতি পরীক্ষার আয়োজন এ উপজেলায় কখনও হয়নি। এই পদক্ষেপকে আমরা স্বাগত জানাই। ইউএনও হারুন অর রশিদের এমন পরিকল্পনা জনমনে আশার আলো এনেছে।’

আলেয়া খাতুন নামে আরেক অভিভাবক বলেন, ‘ইউএনও স্যার এই উদ্যোগের মাধ্যমে দারুণ প্রশংসার দাবিদার। অষ্টগ্রামে এর আগে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের নিয়ে কেউ এভাবে চিন্তা করেনি।’

তাহসীন জামিল অন্তর নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে দিনরাত পড়াশোনা করছি। এই সময়ে ইউএনও স্যার আর আমাদের স্কুলের স্যারেরা মিলে যে প্রস্তুতি পরীক্ষা নিলেন তাতে আমরা উপকৃত হলাম। নিজের প্রস্তুতি সম্পর্কে একটা ধারণা হলো।

এ ছাড়া মূল পরীক্ষার আগে এই পরীক্ষা ভালো ফলাফলে সহায়ক হবে। এতে নতুন একটি স্থানে পরীক্ষা দেয়ার যে মানসিক চাপ সেটিও আর ভুগতে হবে না। আমি বলবো, এটি ইউএনও স্যারের একটি মহৎ উদ্যোগ।

হক সাহেব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ভীতি কাটানো ও ভালো ফলাফলের জন্য এ প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা নিসন্দেহে প্রশংসনীয় কাজ। ভালো ফলাফলের ভিত্তি এই পরীক্ষা। ইউএনও মহোদয়ের এই ব্যাতিক্রমী উদ্যোগের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।’

এ বিষয়ে ইউএনও হারুন অর রশিদ বলেন, ‘সম্প্রতি করোনাকালীন সময়ে অনেক শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা বিমূখ হয়ে পড়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ভীতি তাড়ানো ও ভালো ফলাফলের জন্য এ পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে।

‘এ পরীক্ষার আয়োজনে সরকারি কোনো নির্দেশনা ছিল না। শিক্ষার্থীদের উপকারের জন্যই স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এমন উদ্যোগ নিয়েছি।’

প্রস্তুতি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত দশজনকে পুরষ্কৃত করা হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর