চুয়াডাঙ্গায় একটি বাল্ব গোডাউনের আগুন ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। আগুনে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পৌর এলাকার ফেরিঘাট রোডের তিনতলা একটি ভবনের নিচে ওই বাল্বের গোডাউনে বুধবার রাত ২টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, গোডাউনে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ওই ভবনে বসবাসকারীদের দ্রুত নিরাপদে সরিয়ে নেন প্রতিবেশীরা৷ পরে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ভবনটির মালিক নাগিব মাহফুজ বলেন, ‘আমার বাড়ির নিচতলা গোডাউন হিসেবে ভাড়া দেয়া আছে। সেখানে এলইডি বাল্ব, বৈদ্যুতিক পাখা ও বৈদ্যুতিক তার রাখা হতো। রাত ২টার দিকে ভবনের নিচতলায় আগুনের শিখা দেখতে পাই। ইলেকট্রিক পণ্যের কারণে আগুন ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছায়। তবে আগুন ছড়িয়ে না পড়ায় আশপাশে ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’
তিনি আরও জানান, প্রথমে আগুনের ফুলকি দেখে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। এরপর আগুনের ভয়াবহতা মারাত্মক আকার ধারণ করলে ফায়ার সার্ভিসের আরও একটি দল এসে কাজ শুরু করে। ৪ ঘণ্টা পর তা নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে গোডাউনের শাটার ভেঙে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি দল। টানা ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। গোডাউনের প্রবেশ পথ ও জায়গা সরু হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়। এ ছাড়া গোডাউনে ইলেকট্রিক জিনিসপত্র থাকার কারণে দ্রুতই আগুনের ব্যাপকতা ছড়ায়।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত, তবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত নয়। আমরা প্রাথমিক ধারণা করছি, ২০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে নষ্ট হয়েছে।’