বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আরএসআরএমের এমডি আটক

  •    
  • ৮ জুন, ২০২২ ২৩:৫০

র‌্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গুলশান-২ এর ১২০ নম্বর সড়কের একটি বাসায় এ অভিযান চলছে।

দেশের অন্যতম শীর্ষ ঋণখেলাপী ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি রতনপুর গ্রুপের প্রতিষ্ঠান মেসার্স রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের (আরএসআরএম) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাকসুদুর রহমানকে রাজধানীর গুলশানের একটি বাসা থেকে আটক করেছে র‍্যাব।

র‌্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় জানান, মাকসুদুর রহমানকে আটক করতে গুলশান-২ এর ১২০ নম্বর সড়কের একটি বাসায় অভিযান চালানো হচ্ছে।

এর আগে আরএসআরএমের কাছ থেকে ২০১ কোটি টাকা খেলাপি আদায়ে প্রতিষ্ঠানটির স্থাবর সম্পত্তি নিলামে তুলতে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেয় সোনালী ব্যাংক।

গত ৫ জানুয়ারি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ করা নিলাম বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মেসার্স রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলসের কাছে সোনালী ব্যাংকের ২০১ কোটি ৪৩ লাখ ৫২ হাজার ৮৬৫ টাকা পাওনা খেলাপি হয়েছে। এই পাওনার বিপরীতে চট্টগ্রামের বায়েজিদ এলাকায় গ্রুপটির কারখানাসহ ১০০ শতক জমি বন্ধক রয়েছে।

দীর্ঘদিনেও ঋণ পরিশোধ না করায় অর্থঋণ আদালত আইন ২০০৩ (সংশোধন ২০১০) এর ১২ ধারার বিধান মোতাবেক প্রতিষ্ঠানটির স্থাপনাসহ এসব স্থাবর সম্পত্তি নিলামে তোলা হবে।

এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম ও লালদীঘি করপোরেট শাখার প্রধান ইয়াকুব মজুমদার বলেন, ‘ঋণের টাকা শোধ না করায় রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের স্থাপনাসহ ১০০ শতক জমি নিলামে তোলা হবে। শিগগিই এই নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।’

এ ছাড়া এই ঋণ আদায়ে গ্রুপটির বিরুদ্ধে অর্থঋণ ও এনআই অ্যাক্টে মোট ১২টি মামলা করেছে ব্যাংকটি।

চট্টগ্রামের ইস্পাত খাতের অন্যতম শিল্প প্রতিষ্ঠান রতনপুর গ্রুপ। যেটি আরএসআরএম নামে বেশি পরিচিত। ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়া গ্রুপটির বার্ষিক টার্নওভার প্রায় ৭০০ কোটি টাকা। যেই কারখানা ঘিরে প্রায় ৮০০ কর্মী উৎপাদন কাজে নিয়োজিত ছিল। কিন্তু ৪০ কোটি টাকা বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের কারণে গ্রুপটির দুটি কারখানার উৎপাদন গত এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে।

গ্রুপটির কাছে বর্তমানে ১০টি ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ২২০০ কোটি টাকার ঋণ আটকে আছে। এই পাওনা আদায়ে গ্রুপটির কর্ণধারদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ২০টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংকের দুটি এনআই অ্যাক্ট মামলায় গ্রুপটির কর্ণধারদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর