বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিশ্বকাপ ট্রফি ছুঁয়ে আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ৮ জুন, ২০২২ ২৩:২৪

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনীতির বাইরে ছিলেন একজন ফুটবলপ্রেমী। ১৯৪০ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা ওয়ান্ডারার্সের জার্সি গায়ে ফুটবল খেলেছেন। স্ট্রাইকার পজিশনে তার খেলা ছিল সে সময়ে প্রশংসিত। ১৯৪৩ সালে বগুড়ার একটি ফুটবল টুর্নামেন্টে বঙ্গবন্ধুর অধিনায়কত্বে শিরোপা জিতেছিল ওয়ান্ডারার্স। তার সন্তানরাও ফুটবলে অনুরক্ত। শেখ কামালের হাত ধরেই ফুটবলে আবাহনী ক্রীড়া চক্র শক্ত অবস্থানে পৌঁছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বকাপ ট্রফি ছুঁয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। স্মৃতিচারণ করেন নিজ পরিবার সদস্যদের ফুটবল প্রেমের। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন ফুটবলার ছিলেন, সে কথাও গর্ব নিয়ে বলেন তিনি।

জাতীয় সংসদ ভবনের লবিতে বুধবার রাতে ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি দেখেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিন, ট্রফির সঙ্গে ঢাকা সফররত ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী দলের মিডফিল্ডার ক্রিস্টিয়ান কারেম্বু, বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন, বাফুফে সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগসহ ফিফা, কোকা-কোলা এবং বাফুফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২-এর ট্রফির বাংলাদেশ ভ্রমণের মধ্য দিয়ে দেশের ক্রীড়াপ্রেমীরা, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম উৎসাহিত হবে বলে অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, ‘ফিফা ট্রফির বাংলাদেশ ভ্রমণের ফলে দেশের ক্রীড়াপ্রেমীরা, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম উৎসাহিত হবে।’প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কুশল বিনিময় শেষে প্রধানমন্ত্রী তার পরিবারের সদস্যদের খেলাধুলায়, বিশেষ করে ফুটবলের সঙ্গে সম্পৃক্ততার ওপর স্মৃতিচারণ করেন।নিজের পিতামহ, পিতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ভাই, সন্তান এমনকি নাতি-নাতনিরাও অত্যন্ত ক্রীড়ামোদী এবং ক্রীড়ানুরাগী বলেও উল্লেখ করেন তিনি।বাংলাদেশে বিশ্বকাপ ট্রফির আগমনে ফিফা, কোকা-কোলা এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, ‘ফুটবল বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।’

বিশ্বকাপ ট্রফি ছুঁয়ে দেখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিএমও

রাতের এ আয়োজনে জাতীয় সংসদ ভবনের লবিতে রাখা ট্রফি ছুঁয়ে দেখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ফুটবল হাতে নিয়ে উপস্থিত অতিথিদের সঙ্গে আলাপ করেন ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের ফুটবলে স্বর্ণালি দিনের স্বপ্নের কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী তার পরিবারের ফুটবলপ্রীতি ও দেশবাসীর ফুটবল সমর্থন নিয়ে কথা বলেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনীতির বাইরে ছিলেন একজন ফুটবলপ্রেমী। ১৯৪০ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা ওয়ান্ডারার্সের জার্সি গায়ে ফুটবল খেলেছেন। স্ট্রাইকার পজিশনে তার খেলা ছিল সে সময়ে প্রশংসিত। ১৯৪৩ সালে বগুড়ার একটি ফুটবল টুর্নামেন্টে বঙ্গবন্ধুর অধিনায়কত্বে শিরোপা জিতেছিল ওয়ান্ডারার্স। তার সন্তানরাও ফুটবলে অনুরক্ত। শেখ কামালের হাত ধরেই ফুটবলে আবাহনী ক্রীড়া চক্র শক্ত অবস্থানে পৌঁছে।

বাংলাদেশে বিশ্বকাপ ট্রফির আগমনে ফিফা, কোকা-কোলা এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিএমও

বিশ্ব ভ্রমণের অংশ হিসেবে বুধবার ঢাকায় পৌঁছেছে কাতারে অনুষ্ঠেয় ফুটবল বিশ্বকাপের ট্রফি। কোকা-কোলার আয়োজনে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে একটি চার্টার্ড বিমানে পাকিস্তান থেকে ঢাকায় পৌঁছায় ফিফা ট্রফি।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ট্রফি গ্রহণের পর তা প্রদর্শনের জন্য ঢাকায় রাখা হবে ৩৬ ঘণ্টা। ট্রফির সঙ্গে আছে ফিফার সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল। কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থায় এটি রাখা হবে র‌্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে।

তার আগে ট্রফি দেখানো হয় প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিকে।

বিশ্বকাপের ঢাকা উপস্থিতি নিয়ে বেশ কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ জন্য আয়োজন করা নৈশভোজে নিমন্ত্রণ করা হয়েছে পোশাকশিল্পে কর্মরত বেশ কয়েকজন শ্রমিককে। অনেক দলের জার্সি বাংলাদেশ থেকে তৈরি হয় বলে তাদের জন্য এ সম্মান।

র‌্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে বৃহস্পতিবার সকালে আয়োজন করা হয়েছে বাংলাদেশের ফুটবলের স্বর্ণযুগের ২০টি ছবির বিশেষ প্রদর্শনী। সেখানে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন।

কোকা-কোলার আয়োজনে বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয়েছে জমকালো কনসার্টের। সেখানেই নির্দিষ্ট কিছু মানুষ সেই ট্রফির সঙ্গে সেলফি তোলার সুযোগ পাবেন। স্টেডিয়ামে ঢোকার সুযোগ পাবেন অনলাইনে নিবন্ধনকৃত ২৫ হাজার দর্শক।

কাতার বিশ্বকাপ সামনে রেখে ১২ মে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে শুরু হয় বিশ্বকাপের ট্রফির বিশ্বভ্রমণ। ৫৬টি দেশে যাবে সোনায় মোড়ানো এ ট্রফি।

২০১৩ সালেও বাংলাদেশে বিশ্বকাপ ট্রফি এসেছিল, তবে সেটি ছিল রেপ্লিকা। এবার আসছে ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপজয়ী দলের হাতে উঠতে যাওয়া আসল ট্রফি।

বাংলাদেশের পর বিশ্বকাপ ট্রফিকে নেয়া হবে পূর্ব তিমুরে। বাংলাদেশ থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১০ মিনিটে উড়াল দেবে ট্রফিবাহী উড়োজাহাজ।

এ বিভাগের আরো খবর