বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গোল্ডকাপের খেলায় সংঘর্ষ, স্কুলের ১৫ শিক্ষার্থী আহত

  •    
  • ৮ জুন, ২০২২ ২৩:০১

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় দুই স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব গোল্ডকাপ ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুনন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপের প্রাথমিক পর্যায়ের খেলায় জয়-পরাজয় নিয়ে তর্কাতর্কির জেরে এই সংঘর্ষ হয়েছে। আহতরা উপজেলার হাড়িয়াদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বুধবার বিকেলে সিংহশ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

কাপাসিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আনছার উদ্দিন তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন।

হাড়িয়াদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সিংহশ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খেলা ছিল বুধবার। খেলার আয়োজন ছিল সিংহশ্রী বিদ্যালয়ে।

হাড়িয়াদী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালমা আক্তার জানান, খেলায় সিংহশ্রীর ছাত্রীদলকে হারিয়ে জয় পায় তাদের ছাত্রীদল। তবে তাদের ছাত্রের দল সিংহশ্রী বিদ্যালয়ের ছাত্রদের দলের কাছে হেরে যায়।

সালমা অভিযোগ করেন, খেলা শেষে ড্রেসিংরুমে হাড়িয়াদীর এক ছাত্রকে ধাক্কা দেয় সিংহশ্রীর কয়েক শিক্ষার্থী। এর জেরে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে সিংহশ্রীর শিক্ষার্থীরা হাড়িয়াদীর ছাত্রীদের ওপর হামলা চালায়। এতে তাদের ১৫ শিক্ষার্থী আহত হয়। তাদের নৌকায় করে শ্রীপুরের বরমী নিউ লাইফ এন্ড পপুলার হাসপাতালে নেয়া হয়।

এ বিষয়ে সিংহশ্রী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমি একটি প্রশিক্ষণে কাপাসিয়া উপজেলায় ছিলাম। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ খোকন আমাকে মুঠোফোনে হামলার বিষয়টি জানান। আমি খবর পেয়েই স্কুলে যাই।

‘আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে হামলার যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মোটেও সত্য নয়। বরং হাড়িয়াদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক দপ্তরি আমাদের এক শিক্ষার্থীকে চড়-থাপ্পড় মেরেছে।’

বরমী নিউ লাইফ এন্ড পপুলার হাসপাতালের চিকিৎসক রাশিদুল হাসান জানান, শিক্ষার্থীদের আঘাত গুরুতর নয়। তাদের কিল-ঘুষি দেয়া হয়েছিল। তবে তারা ভয় পেয়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আনছার উদ্দিন জানান, চিকিৎসা শেষে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীকে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। দুইজনকে হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর