বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বন কেটে কৃষিজমি বানানো রুখতে আহ্বান

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৮ জুন, ২০২২ ২২:৫৯

সেমিনারে বক্তারা বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে কয়েক দশক আগেও জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ ছিল। কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে তাদের প্রথাগত চাষাবাদ পদ্ধতি জুম চাষ ব্যাহত হচ্ছে। তরুণ সমাজকে জুম চাষে আগ্রহী না হয়ে ফলের বাগানে বেশি আগ্রহী হতে দেখা গেছে। জুম চাষ কমে যাওয়ায় মাটির উর্বরাশক্তিও কমে যাচ্ছে। ফলে স্থানীয়রা জুম চাষের নতুন জমির সন্ধানে ছুটছেন।’

পার্বত্য চট্টগ্রামে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও বন কেটে কৃষিজমিতে রূপান্তর না করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে বুধবার আরণ্যক ফাউন্ডেশনের এক সেমিনারে এ আহ্বান জানানো হয়।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদ এবং প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরী।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে কয়েক দশক আগেও জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ ছিল। কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে তাদের প্রথাগত চাষাবাদ পদ্ধতি জুম চাষ ব্যাহত হচ্ছে। তরুণ সমাজকে জুম চাষে আগ্রহী না হয়ে ফলের বাগানে বেশি আগ্রহী হতে দেখা গেছে। জুম চাষ কমে যাওয়ায় মাটির উর্বরাশক্তিও কমে যাচ্ছে। ফলে স্থানীয়রা জুম চাষের নতুন জমির সন্ধানে ছুটছেন।’

তারা বন বিভাগের রিজার্ভ ফরেস্ট বা সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ঢুকে পড়ছে বলে জানানো হয় সেমিনারে।

জরিপের উদাহরণ টেনে সেমিনারে বলা হয়, রাইংখ্যংছড়ির সংরক্ষিত বনের ফারুয়া নামক স্থানে প্রায় তিন হাজার পরিবার বসতি স্থাপন করেছে, যেখানে জনসংখ্যা ১৪ হাজারেরও বেশি। সরকার সে স্থানকে ইউনিয়ন ঘোষণা করেছে।

এভাবে বনের জমি কৃষিজমিতে রূপান্তর হতে থাকলে বনের জীববৈচিত্র্য ধ্বংসসহ বনের প্রতিবেশ সেবা সম্পূর্ণরূপে ব্যাহত হবে বলে মত প্রকাশ করেন বক্তারা।

সেমিনারে বলা হয়, উন্নয়নের জন্য সড়ক ও অন্যান্য স্থাপনা হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিভিন্ন ফল ও কফি উৎপাদনের উৎকৃষ্ট স্থান মনে করছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে ফলের চারা বিতরণ করে তা লাগানোর জন্য উৎসাহিত করছে। স্থানীয়রা পাহাড়ের গাছপালা কেটে সেখানে দেশি-বিদেশি ফলের গাছ লাগাচ্ছে। লোভী ব্যবসায়ীরা ঝিরির পাথর উত্তোলন করে পানির প্রবাহ ও পানি ভূগর্ভে যাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করছে।

এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে পার্বত্য এলাকার মানুষের জীবন-জীবিকায় বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন বক্তারা।

তাই প্রতিবেশ সেবা পুনরুদ্ধারে এখনই ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।

এ জন্য ফরেস্ট ল্যান্ডস্কেপ রেস্টোরেশন বা স্থানীয় জনগণের সম্পৃক্ততায় বন ও প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার প্রয়োজন বলে জানান বক্তারা।

আরণ্যক ফাউন্ডেশন এরই মধ্যে একটি স্টাডি হাতে নিয়েছে বলে জানানো হয়। সংরক্ষিত বনের বর্তমান অবস্থা জেনে সেখানে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা করে কী ধরনের ব্যবস্থা নিলে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে তা নিয়ে পরিকল্পনা তৈরির কাজ করছে সংস্থাটি। এ কাজটি করার জন্য বিশ্বব্যাংকের প্রোগ্রিন কর্মসূচি সহায়তা করছে।

আরণ্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রাকিবুল হাসান মুকুলের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আরণ্যক ফাউন্ডেশনের ফরেস্ট ল্যান্ডস্কেপ রেস্টোরেশন স্পেশালিস্ট ড. মহা. আব্দুল কুদ্দুস।

আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বন সংরক্ষক ও ইনস্টিটিউশন অফ ফরেস্টার্স বাংলাদেশের সভাপতি ইশতিয়াক উদ্দিন আহমদ।

আরও উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ; এফএও বাংলাদেশের এনভায়রনমেন্ট, ফরেস্ট অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ ইউনিটের টিম লিডার ড. ক্রিস্টেফার জনসন এবং বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সিনিয়র এনভায়রনমেন্টাল স্পেশালিস্ট ড. ইশতিয়াক সোবহান।

এ বিভাগের আরো খবর