টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিতে আগ্রহ দেখিয়েছে ফিনল্যান্ড।
গণভবনে বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এসে এ আগ্রহের কথা জানিয়েছেন ঢাকায় ফিনল্যান্ডের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত রিতভা কাউক্কু-রন্ডে।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
নয়াদিল্লিতে অবস্থানরত রাষ্ট্রদূত ফিনল্যান্ড-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তার দেশের প্রধানমন্ত্রী সান্না মিরেল্লা মারিনের শুভেচ্ছাপত্র পৌঁছে দিতে আসেন। একই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
রিতভা কাউক্কু-রন্ডে বলেন, ‘ফিনল্যান্ডের বহুজাতিক টেলিযোগাযোগ কোম্পানি নকিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা আরও জোরদার করা যেতে পারে।’
জাতিসংঘের সংস্থাগুলোতে ফিনল্যান্ড রোহিঙ্গা ইস্যুতে কাজ করবে বলেও প্রধানমন্ত্রীকে জানান ফিনিশ রাষ্ট্রদূত।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নিজ দেশ মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
রোহিঙ্গাদের জন্য স্থানীয় জনগণকে অনেক কষ্ট পোহাতে হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমরা মিয়ানমার সীমান্তে কোনো ধরনের বিদ্রোহ মেনে নেব না।’
বাংলাদেশ অনেক হাই-টেক পার্ক স্থাপন করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ফিনল্যান্ডের কোম্পানিগুলো এসব হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগ করতে পারে।’
বৈঠকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে, ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়।”
যুদ্ধের কারণে বিদেশ থেকে সার সংগ্রহেও শিপিং খরচ অনেক বেড়ে গেছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের নিজস্ব উন্নয়নে উন্নত দেশগুলোর সহায়তা প্রয়োজন।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ খাদ্যনিরাপত্তার জন্য কৃষি গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে এবং দেশে কোনো আবাদি জমি অনাবাদি থাকবে না।’
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিনল্যান্ডের অনারারি কনসাল জেনারেল মুহাম্মদ আজিজ খান উপস্থিত ছিলেন।