চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পুড়ে যাওয়া বিএম কনটেইনার ডিপো থেকে কিছু দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। সেগুলো দুই ব্যক্তির বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ডিপোর একটি অংশের কাছাকাছি দুই জায়গা থেকে কিছু দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। পুড়ে যাওয়ায় শনাক্ত করা যাচ্ছে না মরদেহের পরিচয়। ফায়ার সার্ভিস তা চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে আমি বুঝে নিয়েছি। চিকিৎসকরা দেখে জানিয়েছেন দেহাবশেষগুলো দুজন ব্যক্তির।’
তিনি জানান, এ নিয়ে আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৬। বুধবার পর্যন্ত নিহতদের মধ্যে ২৭ জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের যৌথ মালিকানাধীন (জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি) প্রতিষ্ঠান বিএম কনটেইনার ডিপো সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকায়। সেখানে গত শনিবার রাত ৯টার দিকে আগুন লাগে। কনটেইনারে থাকা রাসায়নিক পদার্থের কারণে দফায় দফায় বিস্ফোরণে বাড়ে আগুনের ভয়াবহতা।
৮৭ ঘণ্টা পর বুধবার দুপুরে ডিপোর আগুন নেভে। সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮ ব্রিগেডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম হিমেল বলেন, ‘কনটেইনার ডিপোর আগুন নিভেছে। আগুন নেই, ধোঁয়া আছে একটু একটু। এখানে গার্মেন্টস পণ্য থাকায় যখনই পানি দিচ্ছি, ধোঁয়া বের হচ্ছে, তবে এখন কোথাও আগুন জ্বলছে না।
‘ফায়ার সার্ভিস নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারে। তাদের সঙ্গে কো-অর্ডিনেশন করে একসঙ্গে কাজ করেছি। তাদের সর্বোচ্চ সহায়তা করেছি। আমরা চেষ্টা করেছি আগুন যেন আর না বাড়ে, আর যেন কোনো হতাহত না ঘটে। গত ৭২ ঘণ্টায় আর কোনো বিস্ফোরণ হয়নি। আশা করছি আর কোনো বিস্ফোরণের আশঙ্কা নেই।’
বিস্ফোরণের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করেছেন উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফ সিদ্দিকী। অবহেলার অভিযোগে ডিপোর আট কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তাতে আসামি করা হয়েছে।
থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।