বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ অবহেলাজনিত হত্যা: বাম জোট

  •    
  • ৮ জুন, ২০২২ ১৯:২৮

বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা বলেন, ‘সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণকে দুর্ঘটনা বলে প্রচার করা হচ্ছে। নাশকতাসহ নানা কথা বলে দায় এড়ানোর চেষ্টা চলছে। এই বিস্ফোরণ শুধু দুর্ঘটনা নয়, অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড।’

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড বলে মন্তব্য করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা।

ডিপো ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে বুধবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে মুক্তি ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেছেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন সীতাকুণ্ড পরিদর্শন টিমের সদস্য বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘বিস্ফোরণকে দুর্ঘটনা বলে প্রচার করা হচ্ছে। নাশকতাসহ নানা কথা বলে দায় এড়ানোর চেষ্টা চলছে। এই বিস্ফোরণ শুধু দুর্ঘটনা নয়, অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড।

‘ঘটনার প্রকৃত তথ্য খুঁজে বের করার জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন এবং ওই কমিটিতে বেসরকারি বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ডিপো মালিকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তদারকির দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ সরকারি কর্মকর্তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।

‘আহতদের সুচিকিৎসা, পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ, কাজের নিশ্চয়তা, আইএলও কনভেনশনের ১২১ ধারা অনুযায়ী নিহতদের আজীবন কাজের মজুরির সমান ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে। রাসায়নিক দূষণ দূর করতে বিজ্ঞানসম্মত পদক্ষেপ নিতে হবে।’

রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘অননুমোদিত এই ডিপোতে যথাযথ নিয়ম না মেনে বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল। ফায়ার ব্রিগেডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাও জানতেন না এই ডিপোতে রাসায়নিক বা বিস্ফোরক পদার্থ আছে।

বিস্ফোরণের ঘটনার পরপর তারা এসেও মালিকপক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাউকে না পাওয়ায় কোন কনটেইনারে কী আছে তা জানতে পারেননি। এ জন্য আগুন নেভানো ও উদ্ধারকাজে সমস্যা হয়েছে। যথাসময়ে কনটেইনার সরানো যায়নি। প্রকৃত তথ্য পেলে হয়তো ফায়ার ব্রিগেডের কর্মীসহ এত মানুষের প্রাণহানি হতো না।’

তিনি বলেন, ‘এত বড় ঘটনার পরও থানায় মামলা হয়নি। মালিক আওয়ামী লীগেরও নেতা। মালিকপক্ষের কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। বরং বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে মালিকপক্ষ নিজেদের সাফাই গেয়ে চলেছেন।’

প্রিন্স আরও বলেন, ‘এর আগে নিমতলী, চুড়িহাট্টা, রানা প্লাজা, তাজরীন, সেজান জুসসহ বিভিন্ন কারখানায় অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ডের খবর সবার জানা। এর কোনোটির বিচার হয়নি, বরং অনেককে পুরস্কৃত করা হয়েছে। সরকারের নিয়মনীতির প্রতি উদাসীনতা, মালিক তোষণ আর মালিকের মুনাফার বলি হচ্ছে সাধারণ মানুষ।’

সংবাদ সম্মেলনে বাম জোটের সমন্বয়ক ও ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার ক্ষমতায় থাকলে এ অবস্থা হতে পারত না। সারা দেশ অনিয়মের আখড়ায় পরিণত হয়েছে।’

‘চলমান আওয়ামী সরকারের দুঃশাসন এই অনিয়ম আরও বাড়িয়ে তুলেছে। মালিক ও শোষকরা সরকারের কাঁধে ভর করে এই অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করেছে। এর বিরুদ্ধে জনগণকে রুখে দাঁড়াতে হবে।’

পরিদর্শন টিমের সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ‘অতীতে অনেক তদন্ত কমিটি হয়েছে, অনেক সুপারিশ শুনেছি। কিন্তু কোনোটাই কার্যকর হয়নি। কোনো তদারকি সংস্থাই ভূমিকা পালন করে না। এদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. হারুন উর রশীদ, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী, ওয়ার্কার্স পার্টির (মার্কসবাদী) নেতা বিধান দাস, বাসদের সহসাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. ফজলুর রহমান প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর