খুলনার সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দুই সাংবাদিকের বিচার শুরু হয়েছে। তারা হলেন, এনটিভির খুলনা প্রতিনিধি আবু তৈয়ব মুন্সি এবং রামপাল উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সবুর রানা।
জেলা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক কনিকা বিশ্বাসের আদালতে বুধবার দুপুরে অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু হয়।
মামলায় মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের সাক্ষ্য নেয়া হবে ২০ সেপ্টেম্বর।
অভিযোগ গঠনের আগে আসামিদের মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে আবেদন করেন আইনজীবীরা। তবে তা নাকচ করেন বিচারক।
খুলনার সাইবার ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এম এম সাজ্জাত আলী নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হওয়া রাঙ্গামাটির সাংবাদিক ফজলে এলাহীর জামিন পাওয়ার দিন খুলনায় একই আইনের মামলায় দুই সাংবাদিকের বিচার শুরুর খবর এলো।
রাঙ্গামাটির সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ফিরোজা বেগম চিনুর করা মামলায় ফজলে এলাহী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার হন। তবে পরদিন তিনি আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিক এলাহীর গ্রেপ্তারের ঘটনা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
খুলনার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এম এম সাজ্জাত আলী নিউজবাংলাকে জানান, ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল এনটিভির খুলনা প্রতিনিধি আবু তৈয়ব মুন্সির ফেসবুক আইডি থেকে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়রের নামে একটি স্ট্যাটাস দেয়া হয়। ওই স্ট্যাটাস নিজের ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করেন রামপালের সাংবাদিক সবুর রানা।ফেসবুকের স্ট্যাটাসে আবু তৈয়ব মুন্সি লেখেন, তালুকদার আব্দুল খালেক মুনস্টার পলিমার এক্সপোর্ট লিমিটেড নামের একটি কোম্পানির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ওই কোম্পানি মোংলা বন্দরে শুল্ক ফাঁকি দিতে অনিয়মের আশ্রয় নেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এর পর ২১ এপ্রিল রাতে মেয়র খালেক দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই রাতেই আবু তৈয়বকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান। এ ছাড়া জামিন আবেদন বাতিল হওয়ার পর কারাগারে যাওয়া সবুর রানা পরে উচ্চ আদালতের আদেশে জামিন পান।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা সদর থানার পরিদর্শক সাঈদুর রহমান গত বছরের ৩১ আগস্ট জেলার সাইবার ট্রাইব্যুনালে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।
প্রায় ৯ মাস পর এই অভিযোগপত্র গ্রহণ করে বুধবার বিচারক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯/৩৫ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
সাংবাদিক আবু তৈয়ব মুন্সি ও এ এম সবুর রানা বর্তমানে জামিনে আছেন।