দখলমুক্ত করে এ মাসেই আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলের পুনর্খনন কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার দুপুরে নগরীর কালুনগরস্থ কোম্পানিঘাট স্লুইসগেট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মেয়র।
মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আদি বুড়িগঙ্গা পুনর্খনন কার্যক্রমের দরপত্র সম্পন্নের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। আমরা আশাবাদী, এ মাসের মধ্যেই এটা উদ্বোধন করতে পারব। এখানে যত রকম দখল রয়েছে, সেটা বড় বড় কারখানা হোক কিংবা ব্যক্তিগত দখল হোক, সবকিছুই দখলমুক্ত করে আমরা পুরো আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলের সীমানা নির্ধারণ করে পুনর্খননের কাজ শুরু করব।’
আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলে প্রভাবশালী দখলদারদের উচ্ছেদে কোনো বাধা পাচ্ছেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র তাপস বলেন, ‘আমরা এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৬ একর জমি অবমুক্ত করেছি। আপনারা লক্ষ করেছেন, খালের মুখ যেখানে ১০০ ফুট ছিল সেগুলো দখল করে তা ৮ ফুট পর্যন্ত কমিয়ে আনা হয়েছিল। আমরা সেগুলো দখলমুক্ত করেছি। অবৈধভাবে নির্মিত ১০ তলা ভবনও আমরা ভেঙে ফেলেছি।
‘সুতরাং যখন আমরা শুরু করব, ইনশাআল্লাহ, এখানেও বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার কোনো কারণ থাকবে না। আমরা পুরোটাই দখলমুক্ত করে, অবমুক্ত করে, পূর্ণাঙ্গরূপে আদি বুড়িগঙ্গাকে পূর্বের অবস্থানে নিয়ে আসব, নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করব।’
ওয়াসার কাছ থেকে বুঝে পাওয়ার আগেই আগামী বর্ষা মৌসুম লক্ষ্য করে স্লুইসগেটগুলো সংস্কার করা হচ্ছে জানিয়ে মেয়র আরও বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর প্রক্রিয়া বাকি আছে, কিন্তু বর্ষা মৌসুম তো থেমে থাকবে না। আপনারা জানেন, সরকারি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় একটু বিলম্ব হয়। কিন্তু সিদ্ধান্ত যেহেতু হয়েছে, তাই এই স্লুইচগেটগুলো আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এরই মধ্যে কীভাবে সেগুলো সচল রাখা যায়, আমরা সেই প্রক্রিয়া নিয়েছি।’
এর আগে নগরীর নাসিরাবাদে অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে মেয়র তাপস বলেন, ‘আজকের এই উদ্বোধনের মাধ্যমে আমরা ৫৩টি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ করলাম। আমরা আশাবাদী এ বছরের মধ্যেই বাকিগুলো শেষ করতে পারব।’
এরপরে দক্ষিণের মেয়র নগরীর নর্থসাউথ রোড ও তাঁতীবাজার মোড়ে জলাবদ্ধতা নিরসনে নর্দমার উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফজলে শামসুল কবির, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. খায়রুল বাকেরসহ সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।