বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র, স্বচ্ছ ভোটের নিশ্চয়তা সিইসির

  •    
  • ৮ জুন, ২০২২ ১৬:০৩

পিটার হাস বলেন, আগামীতে অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন চায় তার দেশ। আর সেই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে রাজনৈতিক সমঝোতার প্রত্যাশা করছেন তারা। সিইসি বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন আগের চেয়ে স্বচ্ছ হবে।’

বাংলাদেশে নির্বাচনে কে জিতবে না জিতবে, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো মাথাব্যথা নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। তবে ভোট অংশগ্রহণমূলক হবে- এমন প্রত্যাশা করছেন তিনি।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।পিটার হাস বলেন, আগামীতে অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন চায় তার দেশ। আর সেই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে রাজনৈতিক সমঝোতার প্রত্যাশা করছেন তারা।

সিইসি বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন আগের চেয়ে স্বচ্ছ হবে।’

৯০ দশকে অনেকটা মীমাংসা হলেও ২০০৬ সাল থেকে সংসদ নির্বাচন নিয়ে আবার বিরোধের শুরু হয় দেশে। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুই বছরের জরুরি অবস্থা শেষে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে অংশগ্রহণমূলক শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলেও পরের তিনটি ভোট নিয়ে আছে নানা প্রশ্ন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পর ২০১৪ সালের জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচনে আসেনি বিএনপি-জামায়াত জোট ও সমমনারা। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের একাদশ সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলেও এই ভোট নিয়ে এখনও প্রশ্ন তুলে যাচ্ছে পরাজিত জোটের নেতৃত্ব দেয়া বিএনপি। তাদের অভিযোগ, আগের রাতেই ভোট দেয়া হয়ে যায় সে সময়।

বিএনপি এবং সমমনারা এবারও জাতীয় নির্বাচনে না আসার আগাম ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। তারা বলছে, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করতে হবে। কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে, আদালতের নির্দেশে এই সরকার ব্যবস্থা বাতিল হয়েছে। সেটি আবার চালুর সুযোগ নেই।

এই পরিস্থিতিতে আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে কি না, এ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিইসি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার একটা পথ বের হয়ে আসবে। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের লিমিটেশনের মধ্যে আমরা যতটা সম্ভব ভালো ইলেকশন করার চেষ্টা করব।’

গত ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেয়া বর্তমান কমিশনের কর্মকাণ্ড নিয়ে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো বিতর্ক হয়নি। বরং একাধিক এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ ওঠার পর ক্ষমতাসীন দলের এক নেতার প্রার্থিতা বাতিল করে দেয়া, অন্য একটি এলাকায় নৌকা মার্কার এক প্রার্থীর ভোট ছিনিয়ে নেয়ার বক্তব্যের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর সেখানে নির্বাচন স্থগিত করে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সেই প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ এসেছে।

আওয়ামী লীগের এই প্রার্থীদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই নিয়েছে। কেউ অভিযোগ করার পর তদন্তের ওপর নির্ভর করেনি কমিশন।

কমিশন এখনও ‘ভোটের খাতা’ খুলতে পারেনি। নতুন এই কমিশনের প্রথম পরীক্ষার ফলাফল দেখতে ভোটারদের অপেক্ষা করতে হবে চলতি মাসের মাঝামাঝি ১৫ জুন পর্যন্ত। সেদিন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এবং বেশ কিছু পৌরসভা ও ইউনিয়নে ভোটের তারিখ রয়েছে।

এই নির্বাচনের ভোটের প্রচার চলাকালে এখন পর্যন্ত সহিংসতার কোনো তথ্য আসেনি গণমাধ্যমে। ভোটে প্রচারে বাধার যে অভিযোগগুলো গত কয়েক বছরে বড় হয়ে এসেছিল, সেগুলোও শোনা যায়নি সেভাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের দূত বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনের অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আন্তর্জাতিক মানের সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য শুধু নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাই যথেষ্ট নয়; এজন্য সরকার, রাজনৈতিক দল গণমাধ্যম, এনজিও এবং বাংলাদেশের জনগণের ভূমিকা রাখতে হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের কোনো পরামর্শ আছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব নয়। এটা নির্ধারণ করবে নির্বাচন কমিশন ও বাংলাদেশের জনগণ।’

এখানে কী জন্যে এসেছিলেন-জানতে চাইলে হাস বলেন, ‘তিনমাস হলো (বাংলাদেশে) এসেছি। আপনারা হয়ত দেখেছেন আমি আরো একাধিক জায়গায় সাক্ষাতে গিয়েছিল। এই ধরনের সাক্ষাতের মাধ্যমে বাংলাদেশে কী হচ্ছে সেটা বোঝার সুযোগ পাচ্ছি।’

নির্বাচন সম্পর্কে কিছু জানতে চেয়েছে কি না জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘প্রথমত ওনাদের কোনো ম্যাসেজ নাই। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আমাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। ইলেকশন সম্পর্কে উনি তেমন কিছু আলোচনাই করেননি।

‘তবে আমরা ইলেকশন নিয়ে কেমন ফিল করি। আমি ব্রিফ করলাম আমাদের ইলেকশন আমেরিকার মতন এত স্মুথ না। একটু টারবলেন্ট (উথাল- পাতাল) হবেই। সব সময় হয়ে আসছে।’

‘আমরা আশা করি আমরা সকল এজেন্সির কাছ থেকে সাপোর্ট পাব’- যোগ করেন সিইসি।

আগামী নির্বাচন নিয়ে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা ফেয়ার করার চেষ্টা করব। অনেক পর্যবেক্ষকদের এলাও করব। মিডিয়া পিপলকে এলাউ করব। আমি নিজে থেকেই বলেছি, আশা করি আমাদের ইলেকশনটা আগের চেয়ে স্বচ্ছ হবে।’

প্রতি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের চেষ্টা করার প্রত্যাশা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এতে নজরদারির মাধ্যমে কিছু হতে পারে। আশা করি সরকার আমাদের সহযোগিতা করবে। সব কিছু মিলিয়ে আমাদের লিমিটেশনের মধ্যে আমরা যতটা সম্ভব ভালো ইলেকশন করার চেষ্টা করব।’

এ বিভাগের আরো খবর