চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। দুর্ঘটনায় অবহেলার অভিযোগে ডিপোর আট কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
সীতাকুণ্ড থানায় মঙ্গলবার রাতে মামলাটি করেন উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফ সিদ্দিকী।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, ‘বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় অবহেলার অভিযোগে মামলাটি করা হয়। মামলায় ডিপোর আট কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আসামি করা হয়েছে।’
এদিকে সব জ্বালিয়ে ছারখার করে ৮৭ ঘণ্টা পর বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নিভেছে সীতাকুণ্ডের আগুন। সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮ ব্রিগেডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম হিমেল।
তিনি বলেন, ‘কনটেইনার ডিপোর আগুন নিভেছে। আগুন নেই, ধোঁয়া আছে একটু একটু। এখানে গার্মেন্টস পণ্য থাকায় যখনই পানি দিচ্ছি, ধোঁয়া বের হচ্ছে, তবে এখন কোথাও আগুন জ্বলছে না।’
ডিপোর আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪-এ। সর্বশেষ বুধবার ভোরে আগুনে দগ্ধ একজন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন মারা গেছেন।
মঙ্গলবার পর্যন্ত নিহত ৪৩ জনের মধ্যে ২৬ জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন দুই শতাধিক। তাদের মধ্যে ৮৯ জন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গত শনিবার রাত ৯টার দিকে আগুন লাগে নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের যৌথ মালিকানাধীন (জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি) প্রতিষ্ঠান ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে।
একে একে ছুটে যায় চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট। নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলা থেকেও পরে যোগ দেয় কয়েকটি ইউনিট। রোববার সকাল পর্যন্ত আগুন নেভাতে আসা ইউনিটের সংখ্যা বেড়ে হয় ২৫টি।
কনটেইনারে থাকা রাসায়নিক পদার্থের কারণে দফায় দফায় বিস্ফোরণে বাড়ে আগুনের ভয়াবহতা।