বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিশু ধর্ষণ মামলায় কবিরাজের যাবজ্জীবন 

  •    
  • ৮ জুন, ২০২২ ১৫:২৮

আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. কফিল বলেন, ‘মামলার পর পুলিশ আদালতে তদন্তের প্রতিবেদন জমা দিলে ২০১৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বিচার শুরু হয়। আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করে আদালত।’

আয়না পড়া দেয়ার নামে চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জে ১১ বছরের শিশুকে ধর্ষণ মামলায় কবিরাজকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।

চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম ফেরদৌস আরা বুধবার দুপুরে রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত মো. হারুন জোরারগঞ্জ থানার আজমনগর এলাকার বাসিন্দা। ঘটনার সময় তিনি এলাকায় কবিরাজি চিকিৎসা করতেন।

নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. কফিল।

আদালত থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালে নিজেদের বাড়ি ফেনী থেকে জোরারগঞ্জে নানাবাড়িতে বেড়াতে যায় ওই শিশু। এ সময় তার নানার ভাইয়ের একটি পানির মোটর হারিয়ে যায়। তখন কবিরাজের ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে মোটর উদ্ধারের জন্য আসামি হারুনের কাছে গেলে তিনি আয়না পড়া দেয়ার কথা বলে একজন অবিবাহিত মেয়ে লাগবে বলে জানান।

তখন ওই শিশুর খালার সম্মতিতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কবিরাজের কাছে। কবিরাজ সবাইকে বাসা থেকে বের করে দিয়ে ওই শিশুকে ধর্ষণ করেন। এ সময় তার রক্তক্ষরণ শুরু হলে সে চিৎকার করে। পরে শিশুর নানা-নানি তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেন। ঘটনার দুদিন পর শিশুর নানা জোরারগঞ্জ থানায় তিনজনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন।

মো. কফিল বলেন, ‘মামলার পর পুলিশ আদালতে তদন্তের প্রতিবেদন জমা দিলে ২০১৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বিচার শুরু হয়। আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করে আদালত। রায়ে হারুনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। দণ্ডের অর্থ অনাদায়ে আরও ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

‘মামলার অন্য দুই আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। আসামি হারুন পলাতক রয়েছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর