পায়ে হেঁটে জনসাধারণকে পদ্মা সেতু পারাপারের সুযোগ দেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এ দিন সেতুর ওপর দিয়ে কোনো গাড়ি চলাচল করবে না বলেও জানান তিনি।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এমন তথ্য জানান। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে দুই তীরের জেলাগুলোর সংসদ সদস্য, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ওই সভা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘২৫ জুন কোনো গাড়ি পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যাবে না। ২৬ তারিখ সকাল থেকে যান চলাচল করবে। সময় জানিয়ে দেয়া হবে। দুই দিক থেকে টোল দিয়ে পরে সেতু পার হতে হবে। আসা-যাওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘আগের দিন (২৪ জুন) হয়তো কিছু সময়ের জন্য খোলা হতে পারে। সেটা এখনও শিওর না। তবে পায়ে হেঁটে আপনারা যাতায়াত করতে পারবেন। এটার একটা সময়সীমা হয়তো দেয়া হবে, চিন্তাভাবনা আছে, দেখা যাক।’
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে দুই তীরের জেলাগুলোর সংসদ সদস্য, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মতবিনিময় সভায় কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: নিউজবাংলা
সেতু উদ্বোধনের দিন নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, এই সেতু উদ্বোধনের দিন যে কোনো ঘটনা ঘটতে পারে। এমন ষড়যন্ত্র আছে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কনটেইনার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সাবোটাজ কিনা সে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অনেক ঘটনা ঘটছে। জানি না চট্টগ্রামের এই ডিপোর ঘটনা সাবোটাজ কী না। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে সামনে রেখে এ ধরনের অন্তর্ঘাত করার ষড়যন্ত্র আছে। এমনকি উদ্বোধনের দিনেও একটা ঘটনা ঘটনোর জন্য অনেকেই কিন্তু মরিয়া হয়ে চেষ্টা করবে। আমাদের সাবধান থাকতে হবে।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সবাই সতর্ক থাকবেন। যাতে শত্রুরা ভেতরে ঢুকে কোন সাবোটাজ কিংবা অন্তর্ঘাত না করতে পারে।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আবু হাসনাত আবদুল্লাহ, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূরে আলম চৌধুরী লিটন, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ, শাহজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিএম মোজাম্মেল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, অ্যাড. আফজাল হোসেন, প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, এনামুল হক শামীম ও নাহিম রাজ্জাক।
সভা পরিচালনায় ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।