বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জ্বালিয়ে ছারখার করে ৮৭ ঘণ্টা পর নিভল সীতাকুণ্ডের আগুন

  •    
  • ৮ জুন, ২০২২ ১২:২৩

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম হিমেল বলেন, ‘কনটেইনার ডিপোর আগুন নিভেছে। আগুন নেই, ধোয়াঁ আছে একটু একটু। এখানে গার্মেন্টস পণ্য থাকায় যখনই পানি দিচ্ছি ধোঁয়া বের হচ্ছে, তবে এখন কোথাও আগুন জ্বলছে না।’

৮৭ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন নিভেছে।

সাংবাদিকদের বুধবার দুপুর ১২টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮ ব্রিগেডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম হিমেল।

তিনি বলেন, ‘কনটেইনার ডিপোর আগুন নিভেছে। আগুন নেই, ধোঁয়া আছে একটু একটু। এখানে গার্মেন্টস পণ্য থাকায় যখনই পানি দিচ্ছি, ধোঁয়া বের হচ্ছে, তবে এখন কোথাও আগুন জ্বলছে না।

‘ফায়ার সার্ভিস নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারে। তাদের সঙ্গে কো-অর্ডিনেশন করে একসঙ্গে কাজ করেছি। তাদের সর্বোচ্চ সহায়তা করেছি। আমরা চেষ্টা করেছি আগুন যেন আর না বাড়ে, আর যেন কোনো হতাহত না ঘটে। গত ৭২ ঘণ্টায় আর কোনো বিস্ফোরণ হয়নি। আশা করছি আর কোনো বিস্ফোরণের সম্ভাবনা নেই।’

আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ডিপো কর্তৃপক্ষ জানায় সেখানে ৩০ ধরনের মতো কেমিক্যাল ছিল। আমরা যতগুলো চিহ্নিত করতে পেয়েছি তার সবগুলো আলাদা করেছি।

‘আমরা পুরো ডিপো নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি, ঘুরে দেখেছি। আর কোনো দৃশ্যমান মরদেহ পাইনি। এখানে ভয়াবহ আগ্নিকান্ড ঘটেছে। অনেক কনটেইনার সরে গেছে, দুমড়ে-মুছড়ে গেছে। এগুলো সরালে হয়তো মরদেহ বের হতে পারে।ডিপোতে ৪ হাজার ৪০০ এর মতো কনটেইনার ছিল। প্রাথমিক ভাবে জেনেছি, ৪০০ এর মতো ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ডিপোতে ৪ হাজার ৪০০ এর মতো কনটেইনার ছিল। প্রাথমিক ভাবে জেনেছি, ৪০০ এর মতো ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। যেটা ডেপো কর্তৃপক্ষ বা আমাদের কো-অর্ডিনেসর সেল থেকে পরে জানতে পারবেন।

আগুন নেভাতে এতো দেরির কারণ নিয়ে সেনা কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম হিমেল বলেন, ‘হতাহতের ঘটনা যাতে আর না ঘটে আমরা এ বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়েছি। আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আগুনকে বিপৎসীমার নিচে নামিয়ে আনি। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। এখন ধোঁয়া অল্প কিছু ধোঁয়া উড়ছে, এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’

এর আগে সকালে ফায়ার সার্ভিসের দুই ইউনিট আগুন নির্বাপণে কাজ করছে বলে জানান ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা ফারুক হোসেন সিকদার। সে সময় তিনিও জানান, কনটেইনার থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে।

গত শনিবার রাত ৯টার দিকে আগুন লাগে নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের যৌথ মালিকানাধীন (জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি) প্রতিষ্ঠান ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে।

একে একে ছুটে যায় চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট। নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলা থেকেও পরে যোগ দেয় কয়েকটি ইউনিট। রোববার সকাল পর্যন্ত আগুন নেভাতে আসা ইউনিটের সংখ্যা বেড়ে হয় ২৫টি।

কনটেইনারে থাকা রাসায়নিক পদার্থের কারণে দফায় দফায় বিস্ফোরণে বাড়ে আগুনের ভয়াবহতা।

আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪-এ। সর্বশেষ বুধবার ভোরে আগুনে দগ্ধ একজন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

এদিকে মঙ্গলবার পর্যন্ত নিহত ৪৩ জনের মধ্যে ২৬ জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন দুই শতাধিক। তাদের মধ্যে ৮৯ জন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ বিভাগের আরো খবর