বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাংবাদিক ফজলে এলাহীর জামিন

  •    
  • ৮ জুন, ২০২২ ১৩:২৪

ফজলে এলাহীর স্ত্রী সেলিনা সুলতানা সুমি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘৭ দিনের অন্তবর্তী জামিন দিয়েছে আদালত। এ সময়ের মধ্যে তাকে চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে বলা হয়েছে।’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার রাঙ্গামাটির সাংবাদিক ফজলে এলাহীকে জামিন দিয়েছে আদালত।

জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক ফাতেমা বেগম মুক্তা বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে তাকে জামিন দেন।

এর আগে বুধবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে তার জামিন আবেদন করা হয়।

নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফজলে এলাহীর আইনজীবী মুক্তার হোসেন।

ফজলে এলাহীর স্ত্রী সেলিনা সুলতানা সুমি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘৭ দিনের অন্তবর্তী জামিন দিয়েছে আদালত। এ সময়ের মধ্যে তাকে চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে বলা হয়েছে।’

প্রতিক্রিয়ায় মামলার বাদী সাবেক এমপি ফিরোজা বেগম চিনু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে, আমি এটাই চাই। আমার বিরুদ্ধে কিছু অসত্য কথা-বার্তা লিখেছিলেন, যার জন্য আমি আদালতে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।

‘আমিও সাংবাদিকতা করতাম। দেশের কঠিন সময়ে এরশাদ আমলে কাজ করেছি।ব্যক্তির যদি সত্যিকার দোষ থাকে সেটা আমরা লিখতাম। কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাউকে হ্যারেজ করা তো সাংবাদিকতা না। আমরা সেই সাংবাদিকতা শিখিনি।’

২০২০ সালে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে হওয়া মামলায় ফজলে এলাহীকে মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেপ্তার করে রাঙ্গামাটি কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

ফজলে এলাহী জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ ও বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভির রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের স্থানীয় দৈনিক পার্বত্য চট্টগ্রাম ও পাহাড় টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক।

কোতোয়ালি থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম থানা থেকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তারের ওয়ারেন্ট পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিক ফজলে এলাহীকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

‘২০২০ সালে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। মামলার প্রসেস নম্বর ৮১৭/২২। মামলা নম্বর- ২৮/২১।’

মামলার পরোয়ানায় বাদীর নামের জায়গায় নাজনীন আনোয়ার লেখা রয়েছে। তবে নাজনীনের মা সাবেক এমপি ফিরোজা বেগম চিনুর দাবি, তিনিই মামলাটি করেছেন।

চিনু বর্তমানে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে আছেন।

মামলার বিষয়ে নিউজবাংলাকে চিনু বলেন, ‘ডিসি বাংলো পার্কে আমার মেয়ে লিজ নিয়ে রেস্টুরেন্ট দেয়। ৩ বছরের জন্য লিজ ছিল, বিনিয়োগ করেছিল প্রায় ২৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে ডিসি পরিবর্তন হলে রেস্টুরেন্ট নিয়ে ঝামেলা তৈরি হয়। ডিসি অফিসের লোকজনের সঙ্গে রেস্টুরেন্ট কর্মচারীদের বিবাদ হয়।

‘সে সময় এলাহী নিউজ করে যে এই লিজ পেতে আমি আমার প্রভাব খাটিয়েছি। সে আপত্তিকর কথাবার্তা লিখেছে। আমি তখন কোর্টে মামলা করেছি।’

পরোয়ানায় মেয়ের নাম থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ের নাম কেন দিয়েছে জানি না, বাদী আমি-ই।’এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মেসবাহ উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি মামলা করার পর যদি পরিচালনার পাওয়ার অন্য কাউকে দেয়, তাহলে ওয়ারেন্ট ইস্যুতে পরিচালনাকারীর নাম থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে আইনের কোনো ব্যত্যয় হয় না।’

ফজলে এলাহীর স্ত্রী সেলিনা সুমি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চিনুর বিরুদ্ধে ২০২০ সালে একটি নিউজ করেছিলেন আমার হাজব্যান্ড। সেটা ডিসি পার্কের একটি রেস্টুরেন্টের লিজ নেয়া বিষয়ে। হঠাৎ আজকে পুলিশ এসে জানাল তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট। আমরা কিছুই জানতাম না।’

গ্রেপ্তারের কিছুক্ষণ পরই নিজ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দেন সাংবাদিক ফজলে এলাহী। তাতে তিনি বলেন, ‘ফিরোজা বেগম চিনু ও তার মেয়ের মামলায় আমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি ওয়ারেন্ট দেখিয়ে থানায় নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ... সাংবাদিকতার এই প্রতিদান? আমার মৃত্যুর জন্য চিনু ও তার মেয়েকে দায়ী করে গেলাম...... রাঙামাটিবাসী এদের বিচার করিও’। (মূল পোস্টের বানান অপরিবর্তিত)।

এ বিভাগের আরো খবর