বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৭৫ ঘণ্টা পরও জ্বলছে ডিপো

  •    
  • ৮ জুন, ২০২২ ০০:১৭

চট্টগ্রাম ফায়ার কন্ট্রোলরুম থেকে নিউজবাংলাকে জানানো হয়েছে, আগুন এখনও নেভেনি, তবে নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। আগুন আগের চেয়ে বাড়েনি। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এখানে কাজ করছে।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোর আগুন ৭৫ ঘণ্টার পরও পুরোপুরি নেভানো যায়নি। তবে আগুনের তীব্রতা কমেছে।

এর আগে মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে সাংবাদিকদের কাছে সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮ ব্রিগেডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম হিমেল আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার দাবি করেন। বলেন, ‘আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। এখানে বিপজ্জনক কোনো কিছু হওয়ার আর শঙ্কা নেই।

‘ডিপোর ২৬ একর এরিয়ায় ৪ হাজারেরও বেশি কনটেইনার রয়েছে। কনটেইনারগুলো নিচে নামিয়ে কাজ করতে আমাদের সময় লাগছে।’

চট্টগ্রাম ফায়ার কন্ট্রোলরুম থেকে নিউজবাংলাকে জানানো হয়েছে, আগুন এখনও নেভেনি, তবে নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। আগুন আগের চেয়ে বাড়েনি। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এখানে কাজ করছে।

মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুনের ধোঁয়া দেখা গেলেও আগুনের শিখা ও তীব্রতা আগের চেয়ে কম দেখা গেছে। কন্টেইনার পুড়ে সেখান থেকে ধোঁয়ার সৃষ্টি হচ্ছে।

যা ঘটেছিল

নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের যৌথ মালিকানাধীন (জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি) প্রতিষ্ঠান বিএম কনটেইনার ডিপো সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকায়। সেখানে গত শনিবার রাত ৯টার দিকে আগুন লাগে।

একে একে ছুটে যায় চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট। নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলা থেকেও পরে যোগ দেয় কয়েকটি ইউনিট। রোববার সকাল পর্যন্ত আগুন নেভাতে আসা ইউনিটের সংখ্যা বেড়ে হয় ২৫টি।

কনটেইনারে থাকা রাসায়নিক পদার্থের কারণে দফায় দফায় বিস্ফোরণে বাড়ে আগুনের ভয়াবহতা।

রোববার সকালে আগুন ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণে এলেও নেভেনি। ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট ও সেনাবাহিনীর একটি কোম্পানি সোমবার আগুন নেভাতে কাজ করেছে।

আগুন ও বিস্ফোরণে রোববার পর্যন্ত প্রশাসন ৪৫ জন নিহতের তথ্য দিলেও সোমবার জানিয়েছে মৃতের সংখ্যা ৪১।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান সোমবার বলেন, ‘একাধিক হাসপাতালে মরদেহ থাকায় গণনায় ভুল হয়েছে। একই মরদেহ দুবার কাউন্ট হয়েছে। পরে সবগুলো মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসার পর প্রকৃত সংখ্যা ৪১ জন পাওয়া গেছে।’

নিহতদের মধ্যে ৯ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মী বলেও জানান জেলা প্রশাসক।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম হিমেল। ছবি: নিউজবাংলা

যে কারণে আগুন

আগুনের ভয়াবহতা আর বিস্ফোরণের কারণ হিসেবে প্রাথমিকভাবে ডিপোর কনটেইনারে থাকা হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডকে দায়ী করেছে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস। এই রাসায়নিক অ্যাভিয়েশন শিল্প খাতে ব্যবহার করা হয়। উচ্চ চাপে এই রাসায়নিক বোতলজাত করা হয়ে থাকে। রপ্তানির জন্য কন্টেইনারে করে এই রাসায়নিক বিএম ডিপোতে রাখা ছিল।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আনিসুর রহমান বলেন, ‘ডিপোর কর্মকর্তাদের বরাতে আমরা জানতে পেরেছি, কনটেইনারগুলোতে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড ছিল। তবে প্রথমে আগুন নেভাতে আসা ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের কেউ অবহিত করেনি। এমন রাসায়নিকের আগুন নেভাতে হয় ফগ সিস্টেমে।’

আগুনের কারণ অনুসন্ধান, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে ৫টি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপমহাপরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল সাকিব মুবারাত ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন।

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে দ্রুত আর্থিক সহায়তা দিতে এবং নিহত ও আহত শ্রমিকদের তথ্য সংগ্রহের জন্য ১৩ সদস্যের আরও একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

এ দুর্ঘটনায় সার্বিক শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে বিভাগীয় শ্রম দপ্তর চট্টগ্রামের পরিচালক এস এম এনামুল হক তিন সদস্যের আরেকটি কমিটি গঠন করেছেন।

সোমবার বিএম ডিপো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারাও দুর্ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি করেছে।

এ বিভাগের আরো খবর