নোয়াখালীর সদরে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর শরীরে আগুন দিয়ে হত্যার চেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার এক যুবককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
নোয়াখালীর মুখ্য বিচারিক হাকিম প্রথম আমলি আদালতের বিচারক এস এম মোসলেহ উদ্দিন মঙ্গলবার বিকেলে আসামি ইব্রাহিম খলিলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সোমবার রাতে নোয়াখালী পৌরসভা এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে ওই কিশোরীর মা সুধারাম মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলার করার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
বাদীর দাবি, তার মেয়ে অনেকটাই মানসিক প্রতিবন্ধী।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আনোয়ারুল ইসলাম নিউজবাংলাকে এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
আসামি ১৯ বছরের মো. ইব্রাহিম নোয়াখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং পেশায় একজন অটোরিকশাচালক।
এজাহারে বলা হয়েছে, ঘটনাটি ঘটে গত মে মাসের ১২ তারিখে। ওই মেয়ের সঙ্গে অভিযুক্ত যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তার সঙ্গে একাধিকবার ঘনিষ্ঠ হয় ছেলেটি। সবশেষ ওই দিন তাকে একটি গ্যারেজে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়।
এর পর কিশোরীর কাছ থেকে টাকা দাবি করা হয়। কিন্তু টাকা দিতে না পারায় ক্ষিপ্ত হন মো.ইব্রাহিম। একপর্যায়ে তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে শরীরের কিছু অংশ পুড়ে যায়। পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য মামলা করতে দেরি হয় বলে জানান ওই কিশোরীর মা।