দেশে প্রতি পাঁচজনের একজন মানুষ উচ্চ রক্তচাপের আক্রান্ত। এ কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। দেশে বছরে ২ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ হৃদরোগে মারা যান। এর অন্যতম কারণ হিসেবে অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণকে দায়ী করা হয়েছে।
নিরাপদ খাদ্য দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা এসব তথ্য তুলে ধরেন।
‘নিরাপদ খাদ্য, উত্তম স্বাস্থ্য’-এই প্রতিপাদ্য নিয়ে পালিত হয়েছে দিবসটি। গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই) সহায়তায় প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) আয়োজিত ওয়েবিনারে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ ঝুঁকি মোকাবিলায় নিরাপদ খাদ্যের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
ওয়েবিনারে জানানো হয়, উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত অর্ধেক নারী (৫১ শতাংশ) এবং দুই-তৃতীয়াংশ পুরুষ (৬৭ শতাংশ) জানেন না, তাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। গ্লোবাল বারডেন অব ডিজিজ স্টাডির তথ্যমতে বাংলাদেশে মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের প্রধান তিনটি কারণের একটি হচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ।
ওয়েবিনারে বিশেষরা বলেন, বাংলাদেশ ২০২৫ সালের মধ্যে অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে (এনসিডি) লক্ষ্যমাত্রা এবং ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অঙ্গীকারবদ্ধ। উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ এই লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জনে বড় বাধা হিসেবে কাজ করছে।
ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (খাদ্য শিল্প ও উৎপাদন) অধ্যাপক ড. আব্দুল আলীম, জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড রূহুল কুদ্দুস, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ব বিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রোমেন রায়হান, ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্টস স্কুল অব পাবলিক হেলথের সেন্টার ফর নন কমিউনিকেবল ডিজিজ অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক মলয় কান্তি মৃধা, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ ইকবাল।
ওয়েবিনারে জানানো হয়, শিল্পোৎপাদিত ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। খাদ্যের সঙ্গে মাত্রাতিরিক্ত ট্রান্সফ্যাট গ্রহণ করলে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগজনিত অকাল মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যায়। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে ‘খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্স ফ্যাটিএসিড নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা, ২০২১’ প্রণয়ন করেছে। তবে এখনও বাস্তবায়ন না হওয়ায় এর সুফল থেকে জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে।