বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খালিদীর আবেদনের শুনানি শুরু, দুদকের জবাব মঙ্গলবার

  •    
  • ৭ জুন, ২০২২ ২০:৫৬

তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে ৪২ কোটি টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২০ সালের ৩০ জুলাই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। এ মামলা বাতিল চেয়ে গত মাসে হাইকোর্টে আবেদন করেন তৌফিক ইমরোজ খালিদী।

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলা বাতিল চেয়ে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর করা আবেদনের আংশিক শুনানি হয়েছে।

পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৪ জুন মঙ্গলবার দিন ঠিক করে দিয়েছে হাইকোর্ট। ওই দিন আসামিপক্ষের উত্থাপিত প্রশ্নের জবাব দেবে দুদক।

মঙ্গলবার বিচারপতি এ এসএম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হয়।

আদালতে তৌফিক ইমরোজ খালিদীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, সঙ্গে ছিলেন মাহবুব শফিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।

খালিদীর আইনজীবী মাহবুব শফিক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে আমাদের বক্তব্য শেষ হয়েছে। এখন দুদক সময় নিয়েছে। আদালত আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় দিয়েছেন।

‘আজকে আদালতে আমাদের বক্তব্য ছিল, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের যে শেয়ার ছিল তা এনআরবি গ্লোবাল কিনেছে। কিনার সময় শেয়ার প্রতি মূল্য ধরেছে ১২ হাজার ৫শ টাকা। সে হিসেবে ৪০ হাজার শেয়ার ৫০ কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর এই শেয়ার বিক্রির টাকা কিন্তু একাউন্ট টু একাউন্ট ট্রান্সফার হয়েছে।

‘সম্পাদক সাহেবের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৫-এর ২৭ (১) ধারায়, যেখানে বলা হয়েছে জ্ঞাত আয়বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের কথা। এই ক্ষেত্রে আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, একটি কোম্পানি যদি আরেকটি কোম্পানির শেয়ার কেনে, ধরে নিলাম তাদের বক্তব্য অনুযায়ী বেশি দামে কিনেছে। আর সেই টাকা যদি একাউন্ট টু একাউন্ট ট্রান্সফার হয়ে একাউন্টেই থেকে যায় তাহলে জ্ঞাত আয় বহির্ভুত হওয়ার সুযোগ আছে কি না।

‘দ্বিতীয় প্রশ্ন হলো-১০ টাকার শেয়ার কেউ যদি ২০ টাকা দিয়েও কিনে সেখানে ওই প্রতিষ্ঠানের যদি কোনো আপত্তি না থাকে তাহলে সেখানে দুদকের আপত্তি তোলার কোনো সুযোগ আছে কি না। এমন প্রশ্ন আমরা আদালতের কাছে রেখেছি। আদালত শুনে দুদককে ডেকেছে। দুদক এসে জবাবের জন্য সময় চাইলে আদালত সময় দিয়েছেন।’

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সুজিত চ্যাটার্জি আদালতকে বলেন, ‘মামলাটি তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে। দুদক তদন্ত করছে। চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিলে আগে মামলা বাতিলের সুযোগ নাই।’

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আসামিপক্ষের বক্তব্যের জবাব আমরা আগামী মঙ্গলবার দেব। এ জন্য সময় নিয়েছি।’

তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে ৪২ কোটি টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২০ সালের ৩০ জুলাই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী এইচএসবিসি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, সাউথ ইস্ট ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের বিভিন্ন হিসাবে ৪২ কোটি টাকা জমা রেখেছেন। যার বৈধ কোনো উৎস নেই। এই টাকা তিনি প্রতারণা মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র সৃষ্টি করে অবৈধ প্রক্রিয়ায় অর্জন করেছেন মর্মে তথ্য-উপাত্তে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তৌফিক ইমরোজ খালিদী উক্ত অস্থাবর সম্পদ অসাধু উপায়ে অর্জন করেছেন, যা তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ এবং জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত।

এ মামলা বাতিল চেয়ে গত মাসে হাইকোর্টে আবেদন করেন তৌফিক ইমরোজ খালিদী। ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট এ মামলায় তাকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেয় হাইকোর্ট। পরে জামিন স্থগিত করে ৮ সেপ্টেম্বর আপিল করে দুদক। কিন্তু আপিল বিভাগও জামিন বহাল রাখে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত বিডিনিউজের ৯টি ও তৌফিক ইমরোজ খালিদীর নিজ নামে ১৩টি স্থায়ী আমানতের মোট ৪২ কোটি টাকা অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করে রাখার আদেশ দেয়।

একই বছরের ২৬ নভেম্বর তাঁকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। ওই সময় অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে এল আর গ্লোবাল (এলআরজি) অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সিইও রিয়াজ ইসলামকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, অস্থাবর সম্পদ দখলে রেখে তৌফিক ইমরোজ খালিদী দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় অপরাধ করেছেন। দুদক খালিদীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং বিডিনিউজের শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর