করোনাকালে সশরীরে না পারলেও ডিজিটাল মাধ্যমে সমান সক্রিয় ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারের কাজ গতিশীল রাখতে তিনি এই সময়ে ১ হাজার ৬০০টি ‘ডিজিটাল বৈঠক’ করেছেন।
জাতীয় সংসদে মঙ্গলবার এ তথ্য জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাজেট অধিবেশনের তৃতীয় দিনে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য খালেদা খানমের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে পলক বলেন, ‘বিগত দুই বছরে ১৬০০টি ডিজিটাল বৈঠকে উপস্থিত থেকেছেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রিসভা, একনেক, রাজনৈতিক এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে এসব বৈঠকে তিনি উপস্থিত ছিলেন। তার দিকনির্দেশনার ফলে সঠিক সমন্বয়ের কারণে করোনা মোকাবিলায় বিশ্বের পঞ্চম স্থানে আছি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন না হলে করোনাকালে গত দুই বছরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও প্রশাসনিক কার্যক্রম, বাণিজ্যিক কার্যক্রম এমনকি বিচারিক কার্যক্রম করা সম্ভব হতো না। ডিজিটাল মাধ্যমে এভাবে অহরহ বৈঠকও করা সম্ভব হতো না।
‘২০১৮ সালে চালু হওয়া ৩৩৩ সেবার মাধ্যমে করোনাকালে শেখ হাসিনার আহ্বানে কর্মহীন, নিম্নবিত্ত মানুষদের কাছে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়েছে। ৩৩৩ কলসেন্টার না থাকলে আমাদের ডক্টর স্কুল তৈরি করা, টেলিমেডিসিন সেবা প্রদান ও খাদ্য সহায়তা দেয়া দুরূহ হয়ে যেত।’