বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পদ্মা সেতুর সুফল আটকে কালনায়

  •    
  • ৭ জুন, ২০২২ ১৮:৪০

কালনা সেতু প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘সেতুটি পদ্মা সেতুর সঙ্গে উদ্বোধনের কথা ছিল। কিন্তু সেতুর নকশা পরিবর্তন (চার থেকে ছয় লেনে উন্নীতকরণ), সংযোগ সড়কের ভূমি অধিগ্রহণ, করোনাসহ নানা কারণে কাজ পিছিয়েছে। ফলে নির্ধারিত মেয়াদে কাজ শেষ হয়নি।’

পদ্মা সেতুর আগে উদ্বোধনের নির্দেশনা থাকলেও গোপালগঞ্জে মধুমতী নদীর ওপর কালনা সেতুর নির্মাণকাজ এখনও শেষ হয়নি। এতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ পদ্মা সেতুর সুফল পুরোপুরি পাবে না।

দুই বছর আগে সংশ্লিষ্টদের এই বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তখন সেতুর কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদও দিয়েছিলেন তিনি।

২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মধুমতী নদীর কালনা পয়েন্টে ছয় লেনের এ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় জাইকার অর্থায়নে কালনা সেতু নির্মাণ চলছে।জাপানের টেককেন করপোরেশন ও ওয়াইবিসি এবং বাংলাদেশের আবদুল মোনেম লিমিটেড যৌথভাবে এ সেতু নির্মাণ করছে। কালনা সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৫৯.৮৫ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি বছরের জুলাইয়ের মধ্যে ওই সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সাত বছরের মাথায় সেতুটি সেপ্টেম্বরে চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হতে পারে।

কালনা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক এবং নড়াইল সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘সেতুটি পদ্মা সেতুর সঙ্গে উদ্বোধনের কথা ছিল। কিন্তু সেতুর নকশা পরিবর্তন (চার থেকে ছয় লেনে উন্নীতকরণ) সংযোগ সড়কের ভূমি অধিগ্রহণ, করোনাসহ নানা কারণে কাজ পিছিয়েছে। ফলে নির্ধারিত মেয়াদে কাজ শেষ হয়নি। আগামী জুলাইয়ের মধ্যে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে। আর সেতুটি উদ্বোধন করা যাবে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে।’

তিনি জানান, সেতুটি খুলে দেয়া হলে নড়াইল ও যশোর জেলা সরাসরি উপকৃত হবে। ঢাকা থেকে যশোরের ১১৩ কিলোমিটার, খুলনার ১২১ কিলোমিটার এবং নড়াইলের ১৮০ কিলোমিটার দূরত্ব কমে আসবে। এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রামসহ সারা দেশের সঙ্গে বেনাপোল বন্দরের যোগাযোগ সহজ হবে। এতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যেরও প্রসার ঘটবে।

সেতু ও সংযোগ সড়কের অগ্রগতি

সেতুর প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে দাবি করে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘কালনা সবচেয়ে বড় নেলসন লোস আর্চ টাইপের (ধনুকের মতো বাঁকা) সেতু। এর সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য চার কিলোমিটার। ২৭৩ মিটার দীর্ঘ ও ৩০ দশমিক ৫০ মিটার চওড়া এই সড়কের কাজও শেষের পথে।’

রোববার সেতু এলাকা ঘুরে দেখেন নিউজবাংলার প্রতিবেদক। এ সময় স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে সেতুর অগ্রগতির বিষয়ে কথা হয়।

স্থানীয় সংবাদকর্মী প্রসূন মণ্ডল বলেন, ‘একটি স্প্যানের ঢালাইকাজ এখনও শুরুই হয়নি। আমি বুঝতে পারছি না কেন ৯০ শতাংশ কাজ শেষ করার দাবি করা হচ্ছে। জুলাই মাসের মধ্যে এর কাজ শেষ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে বলে মনে হচ্ছে না।’

একই কথা বলেন সলিল বিশ্বাস মিঠু নামে আরেক সংবাদকর্মী। তিনি বলেন, ‘অবকাঠামো নির্মাণের পরও অনেক কাজ থাকে। সেসব কাজ তো ধরাই হয়নি। কীভাবে তারা ৯০ শতাংশ কাজ শেষ করার দাবি করছে তা আমার বোধগম্য নয়।’

ভাঙ্গা-বেনাপোল সড়কের কাজ শুরু কবে

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে কালনা সেতু হয়ে যশোরের বেনাপোল পর্যন্ত সড়কের দৈর্ঘ্য ১৩০ কিলোমিটার। কালনা সেতুর সুফল পেতে এই সড়কটিও দুই থেকে ছয় লেনে উন্নীত করা হবে। তবে সেই কাজ এখনও শুরুই হয়নি।

তিনি বলেন, ১৩০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। তবে এখনও অর্থায়ন নিয়ে সমস্যা রয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের চুক্তি হওয়ার কথা।

অর্থায়ন নিশ্চিত হলেই কাজ শুরু হবে বলে জানান সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান।

এ বিভাগের আরো খবর