চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিসহ কয়েকজন। ছাত্রলীগ এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
হাসপাতালের বাইরে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটে বলে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য শহীদ শ্যামল জানান।
হামলায় জুনায়েদ সাকিসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঢাকা থেকে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকিসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বিস্ফোরণে আহতদের দেখতে এসেছিলেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে বের হয়ে যাওয়ার সময় তার ওপর জয় বাংলা বলে হামলা করে ছাত্রলীগ।
‘এ সময় তার গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। হামলার পর সাকিসহ আহতরা শেভরন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হামলায় আমাদের অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’
তবে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর স্বজন সাফায়েত হোসেন দাবি করেন, ছাত্রলীগ নয়, সাধারণ মানুষ তাদের ওপর হামলা চালায়।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘উনি (সাকি) সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলা শেষে দলবল নিয়ে বিভিন্ন বুথে ঘুরছিলেন। তখন ইমার্জেন্সি থেকে মেইন গেটে যাওয়ার সময় ওনাদের লোকজনের পেছনে দুটি অ্যাম্বুলেন্স আটকা পড়ে। তাই পাবলিক ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের দিকে তেড়ে যায়।’
আরেক রোগীর স্বজন মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ‘সন্ধ্যায় যে মানুষগুলো এসেছিল এখানে তারা যাওয়ার সময় পেছন থেকে গিয়ে গাড়িতে হামলা করছে। ওই লোকটাকেও (সাকি) মারছে। পেছনে গাড়ি ছিল, তবে অ্যাম্বুলেন্স কিনা আমি খেয়াল করিনি।’
মো. রিদোয়ান নামে আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘আমি দেখছিলাম কতগুলো ছেলে গাড়িতে মারতেছে। কিন্তু তারা কে জানি না। পরে গাড়িটা তাড়াতাড়ি টেনে চলে গেছে।’
হামলার বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা ভাইরাল হওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা। সে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী নাকি। তার ওপর কেন হামলা হবে?
‘সীতাকুন্ডের বিস্ফোরণের পর থেকে তো হাজার হাজার মানুষ আসছে, কই কারও তো কোনো সমস্যা হয়নি। এমনকি ওনার আগে তো আমির খসরু সাহেব এসেছেন। তিনিও তো ঠিকঠাক চলে গেছেন।’
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দীন মজুমদারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।