নরসিংদীর মনোহরদীতে ছুরি হামলায় যুবক নিহতের ঘটনায় করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মনোহরদী থানায় মঙ্গলবার সকালে মামলা করেন রাকিব মিয়ার মা। সোমবার রাতে ঘটনার পর আটকদের মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন মঙ্গলবার দুপুরে নিউজবাংলাকে বিষয়টি করেছেন।
নিহত ২০ বছরের রাকিব উপজেলার দৌলতপুর পূর্বপাড়া গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে। গ্রেপ্তার সাইফুল, তার মা নাসিমা বেগম ও খালা তাসলিমা বেগম একই গ্রামের বাসিন্দা।
মঙ্গলবার দুপুরে রাকিবের মা রেনুজা বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার ছেলেকে ঘাঁইয়া (ছুরিকাঘাত) মাইরালাইলো, আমি কি করমো মাথায় ধরছে না।’
তিনি জানান, রাকিব ও সাইফুল মাদ্রাসায় পড়েন। সোমবার মাদ্রাসায় থেকে ফেরার পথে তারা একে অপরের গায়ে চোতরা পাতা লাগিয়ে দেন। এ নিয়ে সাইফুল তার মা ও খালাকে নিয়ে রাকিবের বাবার দোকানে আসেন। সেখানে রাকিবের বাবা সিরাজ মিয়ার সঙ্গে তর্কে জড়ান তারা।
হইচই শোনে রাকিব ও তার চাচাতো বোন পাপিয়া বাড়ি থেকে দৌড়ে আসেন। এসময় সিরাজকে মারতে গেলে সাইফুলকে বাধা দেন রাকিব। এসময় হাতে থাকা ছুরি দিয়ে হামলা চালালে রাকিব, তার বাবা সিরাজ ও পাপিয়া আহত হন।
গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে তাদের মনোহরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিক্যালে রেফার করেন চিকিৎসক। ঢাকায় নেয়ার পথেই রাকিবের মৃত্যু হয়।
ওসি ফরিদ বলেন, ‘গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে তোলা হবে।’