ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যবসায়ীর একটি পা কেটে ফেলা হয়েছে। আরেকটিও আছে ঝুঁকিতে।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্যের এমন অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে পরিবার।
ঠাকুরগাঁওয়ের গড়েয়া সাহাপাড়া মোড়ে শুক্রবার ভোরে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় নিহত হন অটোরিকশার চালক সোহেল রানা। গুরুতর আহত হন অটোতে থাকা সবজির পাইকারি ব্যবসায়ী তাহমিনুর রহমান।
তাহমিনুরের ছোট ভাই আতিক ইসলাম জানান, শুক্রবার তার ভাইকে প্রথমে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা খারাপ হওয়ায় নেয়া হয় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এরপর শনিবার স্থানান্তর করা হয় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে।
রোববার তাহমিনুরের ডান পায়ের অপারেশন হয়। চিকিৎসকরা তার ডান পা কেটে বাদ দেন। বাঁ পায়ের কয়েক জায়গা ভেঙে গেছে। আপাতত এই পায়ের অপারেশন সম্ভব নয় জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
- আরও পড়ুন: পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় অটোচালক নিহত
আতিক বলেন, ‘সেদিনের দুর্ঘটনা আমাদের সংসারে অন্ধকার নামিয়ে দিয়েছে। কারণ ভাইয়ের উপার্জনে আমাদের সংসার এবং আমার পড়ালেখা চলত। এখন পর্যন্ত বাড়িতে জমানো ৮০ হাজার টাকা চিকিৎসার জন্য ব্যয় হয়েছে। এর বাইরেও ধারদেনা হয়েছে।
‘এখন আমরা ঢাকায় টাকার সংকটে আছি। গ্রামবাসীসহ সবার কাছে আহ্বান করব যেন আমার ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়।’
তাহমিনুরের বন্ধু রাজু আহম্মেদ বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি গ্রামবাসীর দ্বারে দ্বারে গিয়ে চিকিৎসার টাকা জোগাড় করার। বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানাব। সেই সঙ্গে তাহমিনুরের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।’
দুর্ঘটনার পর তাহমিনুরের বাবা মমতাজুল হক ঠাকুরগাঁও সদর থানায় মামলা করেন।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বলেন, ‘চালক ঘটনাস্থলের কিছু দূরে গাড়ি রেখে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। চালককে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’