চুয়াডাঙ্গায় এক বছর বয়সী শিশুর কামড়ে একটি সাপের বাচ্চার মৃত্যুর কথা জানিয়েছে পরিবার।
সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামের বিলপাড়ায় মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জান্নাতুল ফেরদৌস নামের শিশুটির বাড়ি বিলপাড়া গ্রামে। তার বাবা রিয়াজুল ইসলাম ও মা শিলা খাতুন।
শিলা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকালে দেড় বছর বয়সী চাচাতো ভাই কাউসারের সঙ্গে জান্নাতুল ঘরে বসে খেলছিল। খেলতে খেলতে দুজনই খাটের নিচে চলে যায়।
‘খাটের নিচে থাকা একটা সাপের বাচ্চাকে ধরে দুই জায়গায় কামড় দিয়ে রক্ত বের করে দেয় জান্নাতুল। এরপর সাপ হাতে নিয়েই খাটের নিচ থেকে বের হয়ে আসে।’
প্রায় আধ হাত লম্বা সাপের মৃত বাচ্চা ও জান্নাতুলকে নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে যান পরিবারের সদস্যরা। তাদের দাবি এটি গোখরা সাপের বাচ্চা। একই কথা বলেন সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মাহবুবুর রহমান মিলন।
শিশুবিশেষজ্ঞ মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, ‘শিশুটিকে সাপের বাচ্চা কামড় দিয়েছে কি না তা ভালোমতো পরীক্ষার জন্য তাকে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করে নিয়ে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। বাহ্যিকভাবে শিশুটির মধ্যে কোনো জটিলতা আমি দেখিনি। মৃত সাপের বাচ্চাটি হাসপাতালে আনা হয়েছিল। দেখে গোখরার বাচ্চা বলে মনে হয়েছে।’
তবে সাপটি ঘরগিন্নী বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান।
তিনি বলেন, ‘এটি ঘরগিন্নী বা Common wolf Snake। সাপটি নির্বিষ। সাধারণত মানুষের বসতির আশেপাশে চলাফেরা করতে দেখা যায়। ছবি দেখে মনে হচ্ছে সাপটি খোলস পাল্টাচ্ছিল। এ সময় সাপ অনেক নাজুক অবস্থায় থাকে। ঘরগিন্নী সাধারণত মানুষকে কামড়ায় না। আর কামড়ালেও নির্বিষ হওয়ায় ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।’
[সংশোধনী: শিশুটির পরিবারের বরাতে নিউজবাংলা সংবাদটি প্রকাশের সময় শিরোনামে গোখরা সাপ উল্লেখ করেছিল। তবে এরপর শিরোনামটি সংশোধন করা হয়েছে।]