ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) ড্রেন নির্মাণের জন্য খোঁড়াখুঁড়িতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সীমানা প্রাচীরের বড় একটি অংশ এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও বিপাকে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা।
পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজারের রাস্তা সংলগ্ন সীমানা প্রাচীরে সোমবার বিকাল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে শুরু করে এর সীমানা প্রচীরের পুরো অংশের বাইরে দিয়ে ড্রেনের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা এক সপ্তাহ ধরে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ করছেন। প্রধান ফটক ও রাস্তা সংলগ্ন অংশে ভাঙন দেখা না দিলেও শাঁখারীবাজার রাস্তার পাশের অংশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ও কর্মচারীদের ডরমিটরির একাংশ সোমবার বিকেলে ভেঙে পড়ে৷ সেখানে ড্রেনের পানিতে ঘরের আসবাবপত্র ডুবে থাকতে দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা নিউজবাংলাকে জানান, সোমবার বিকেলে শ্রমিকরা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ করার সময় সীমানা প্রাচীর ভেঙে পড়তে শুরু করে৷ তারা দ্রুত সরে যাওয়ায় কোনো ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা জানান, বিকাল ৪টার দিকে দেয়াল ও ঘর ভেঙে পড়ে। ভাঙার সময় কেউ ঘরে ছিল না, তাই হতাহত হয়নি। তবে ড্রেনের পানিতে অনেক জিনিসপত্র পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি জিনিসপত্র সরিয়ে নেয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে তাদেরকে বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাঁখারীবাজার সংলগ্ন সীমানা প্রাচীরের প্রায় ৩০০ গজ ও কর্মচারীদের ঘর ভেঙে পড়েছে। ঘটনার পর পরই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাসহ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকদের ডেকে পাঠানো হয়। তারা আজ রাতের মধ্যেই আপাতত টিনের বেড়া লাগিয়ে দেবে এবং আগামীকাল সকাল থেকে দেয়ার তৈরির কাজ করবে বলে জানিয়েছে।’
সিটি করপোরেশনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ প্যারিশ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখিত, অনুতপ্ত। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে আসতে বলা হয়েছে। তারা এলে দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ঠিকাদার সোহেল মিয়া বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা খুব দ্রুতই নতুন করে দেয়াল করে দেব।’