বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সীতাকুণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবির মিছিলে হামলার অভিযোগ

  •    
  • ৬ জুন, ২০২২ ২২:৩৩

সালমান বলেন, ‘তাদের হামলায় অনিকের মাথায় সাতটি সেলাই লেগেছে। এ ছাড়া ছাত্রফ্রন্টের মোজাম্মেল হক, নাহিয়ান রাহাতসহ সাতজন আহত হয়েছে।’

সীতাকুণ্ড কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে দায়ীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠেছে। ছাত্র সংগঠনটির নেতারা বলছেন, তাদের ওপর হামলা করেছে ছাত্রলীগ। তবে ছাত্রলীগের দাবি, অ্যাম্বুলেন্সকে সাইড দিতে বলায় তাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে প্রগতিশীল ছাত্র জোটের নেতাকর্মীরা।

হামলায় ছাত্র ইউনিয়নের সহসভাপতি অনিক রায়সহ ৭ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। আহতরা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে শাহবাগ থেকে টিএসসি রোডে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের বিপরীত পাশের রাস্তায় এই ঘটনা ঘটে বলে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক সোহাইল আহমেদ শুভ।

বাম ঘরানার ছাত্র সংগঠনগুলোর জোট শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশ করে। সমাবেশ থেকে সংগঠনগুলোর অগ্নিকাণ্ডে নিহত এবং আহত পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ ‍ও সুচিকিৎসা নিশ্চিতের দাবি জানান।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জয়দীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা শাহবাগের সমাবেশ শেষ করে মিছিল নিয়ে টিএসসির দিকে এগুচ্ছিলাম। তখন পিছনে মোটরসাইকেলে থাকা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীদের সাথে আমাদের কয়েকজনের কথা কাটাকাটি হয়।

‘এ সময় আমরা মিছিল নিয়ে সামনে এগিয়ে গেলে হামলার বিষয়টা বুঝতে পারিনি। যখন হামলা ব্যাপক আকারে শুরু হয় তখন আমরা বুঝতে পারি। এরপর আমরা পিছন ‍দিকে ছুটে গেলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। ততক্ষণে তারা অনিকের (ছাত্র ইউনিয়নের সহসভাপতি) মাথা ফাটিয়ে দেয়। এ ছাড়া আমাদের আরও তিন চারজন আহত।’

তিনি বলেন, ‘আমরা হামলাকারীদের চিনতে পারিনি। তবে আমাদের বাকি নেতাকর্মীদের সাথে বসে আমরা হামলাকারীদের চিহ্নিত করে জানাব।’

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি সালমান সিদ্দিকি বলেন, ‘সমাবেশ শেষে আমরা মিছিল নিয়ে শাহবাগের রোড হয়ে টিএসসির দিকে আসছিলাম। এ সময় আমাদের মিছিলের পিছনে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। আমরা এগুলোকে সাইড দিয়ে পাঠিয়ে দেই।’

তিনি বলেন, ‘এরপর দেখি মিছিলের পিছনে কিছু বাইক। এসব বাইকেই মূলত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছিল। এ সময় তারাও বাইক নিয়ে চলে যেতে চাইলে ছাত্র ইউনিয়নের সহসভাপতি অনিক রায় তাদের বাধা দেয়। পরে তাকে তারা মারধর করে এরপর মিছিলের সামনে থাকা আমাদের নেতাকর্মীরা সেখানে গিয়ে তাদের বাধা দেই।’

সালমান বলেন, ‘তাদের হামলায় অনিকের মাথায় সাতটি সেলাই লেগেছে। এ ছাড়া ছাত্রফ্রন্টের মোজাম্মেল হক, নাহিয়ান রাহাতসহ সাতজন আহত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা হামলাকারী দুইজনকে চিহ্নিত করতে পেরেছি। তারা হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উপ-মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল হাসান রুপু এবং সূর্যসেন হল ছাত্রলীগ কর্মী শেখ মাশরুফ হোসেন সুজন।’

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অভিযোগ, প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরাই ছাত্রলীগ কর্মীদের উপর প্রথমে হামলা করেন।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘তারা যখন মিছিল নিয়ে যাচ্ছিল তাদের মিছিলের পিছনে কয়েকটা অ্যাম্বুলেন্স আটকা পড়েছিল। এরপর আমাদের বিভিন্ন হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী যখন তাদের অ্যাম্বুলেন্সগুলোকে জায়গা করে দিতে বলেছে সেই প্রেক্ষিতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। মিছিলে তারা (প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা) লোক সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদেরকে তারা মারধর করেন। এই কারণে হয়ত পরে আরও কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে।’

সাদ্দাম বলেন, ‘ছাত্রসংগঠনের নেতারা যদি শুরুতেই দায়িত্বশীল আচরণ করতো তাহলে এই ঘটনাটা এড়ানো যেত।’

এ বিভাগের আরো খবর