সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন করেছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।
সোমবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তারা এই মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচি আয়োজন করে।
এ সময় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতারা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান।
পাশাপাশি নিহত ও আহতদের পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য সরকার ও সমাজের বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও কবিতা পরিষদের সহসভাপতি কবি অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘মানুষের আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোভও বেড়েছে। যার যে দায়িত্ব, সে দায়িত্ব পালন না করে লুটপাটে মত্ত। মানুষের লোভের কারণেই চুরিহাট্টা থেকে সীতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ড, আর এত প্রাণহানি।’
তিনি বলেন, ‘সীতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ডের পর মানবিকতাও ফুটে উঠেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা লাইন ধরে রক্ত দিচ্ছেন। চিকিৎসকরা দিন-রাত পরিশ্রম করছেন। যার যার অবস্থান থেকে সবাই এগিয়ে এসেছেন।’
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস বলেন, ‘ডিপোতে সারি সারি ট্রাকে আগুন লাগছে। মাত্র ১৩ বছরের বালক ট্রাকের ভেতরের পণ্য রক্ষা করার জন্য ট্রাক চালিয়ে নিয়ে গেছে। তার পা-হাঁটু পর্যন্ত পুড়ে গেছে, এটা সে খেয়ালই করেনি। সম্পদ রক্ষা করতে তাদের যে দায়িত্ববোধ এটার প্রতি সম্মান জানাই।’
তিনি বলেন, ‘এ দুর্ঘটনার জন্য কে বা কারা দায়ী তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। নিহত ও আহত পরিবারের পুনর্বাসনে দায়িত্ব নিতে হবে।’
কুদ্দুস বলেন, ‘চট্টগ্রামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শত শত মানুষ অগ্নিদগ্ধ। কিন্তু সেখানে চিকিৎসার জন্য ছোট্ট বার্ন ইউনিট ছাড়া বড় কোনো হাসপাতাল নেই। দেশ অনেক এগিয়েছে। এখন প্রত্যেকটা বিভাগীয় শহরে বার্ন ইনস্টিটিউটসহ পঙ্গু হাসপাতালের মতো বিশেষায়িত হাসপাতাল করতে হবে। কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে যেন শুধু রাজধানীর জন্য চেয়ে থাকতে না হয়। স্বাস্থ্য খাতকে এখনই সারা দেশে ঢেলে সাজাতে হবে।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে আবৃত্তিশিল্পী মীর বরকত, পথনাটক সমিতির মিজানুর, সাধারণ সম্পাদক আহমেদ গিয়াস, গণসংগীত পরিষদের সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট, গ্রুপ থিয়েটারের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক চন্দন রেজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।