চালের ঘাটতি পূরণে সঠিক উপায়ে আমদানির পরামর্শ দিয়েছেন নওগাঁর ব্যবসায়ী ও মিলাররা। তারা বলছেন, চাল আমদানির সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী ও যৌক্তিক। নওগাঁ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি আয়োজিত চালের বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবসায়ীদের এক মত-বিনিময় সভা বক্তারা এইপরামর্শ দেন। সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন চেম্বারের সভাপতি ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল। উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ জেলা ধান চাল আড়তদার সমিতির সভাপতি নিরোদ বরন সাহা চন্দন, আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা।
বক্তারা বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগে চলতি মৌসমে বোরো ফলনে ঘাটতি হয়েছে। দেশে ৩৫ থেকে ৪০ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। অতিরিক্ত আমদানি হলে পরবর্তী মৌসুমে চাষিরা লোকসানে পড়বেন। তাই ঘাটতি পূরণে সঠিক উপায়ে আমদানি করতে হবে।’
তারা আরও বলেন, ‘চলতি মৌসুমে চালের দামের অস্থিরতার জন্য কয়েকটি করপোরেট প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করেছে সরকার। অথচ মজুত যাচাইয়ের নামে প্রশাসন সাধারণ মিলারদের হয়রানি করছে।’
বিদ্যুতের দাম ১১ শতাংশ বাড়ানো হলে প্রতি মণ চালে ২৪ টাকা বাড়বে উৎপাদন খরচ। তাই এই খাতে দাম না বাড়ানোর দাবি তুলে ধরেন ব্যবসায়ী নেতারা।