আদমশুমারি শুরুর প্রাক্কালে আগামী ১৪ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।
সোমবার জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধির এক বিবৃতিতে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ তথ্য জানান।
জনশুমারি ও গৃহগণনায় সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সঠিক তথ্য দেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
বাংলাদেশে ১০ বছর পরপর আদমশুমারি হলেও এবার বাড়তি এক বছর সময় লাগছে করোনার কারণে। ২০১১ সালে সর্বশেষ আদমশুমারি হয়। এই হিসাবে ২০২১ সালে আবার জনগণনা করা হতো। কিন্তু করোনার বিধিনিষেধের কারণে সেটি করা সম্ভব ছিল না।
এই আদমশুমারিতে জনসংখ্যা কত, তার পাশাপাশি এবার ৪৭টি প্রশ্নের উত্তর জানা হবে। এর মধ্যে থাকবে ব্যক্তির বয়স, শিক্ষা, কর্মের ধরন, বাসগৃহ, টয়লেট সুবিধা, জ্বালানির ব্যবহার, আয়সহ নানা তথ্য। রাষ্ট্রীয় নানা পরিকল্পনা গ্রহণ, বাজেট প্রণয়নেও এসব তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মন্ত্রী বলেন, ‘সক্রিয় অংশগ্রহণের পাশাপাশি দেশের সাধারণ জনগণকে শুমারিতে সঠিক তথ্য প্রদানে উদ্বুদ্ধ করতে স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, চিফ হুইপ, অন্যান্য হুইপ, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং বিরোধীদলীয় নেতা ও সংসদ সদস্যকে আমি ব্যক্তিগতভাবে সার্বিক সহায়তা চেয়ে উপানুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়েছি।
‘এই মহান সংসদে আমি পুনরায় আমার এই সহযোগিতার আবেদন পুনর্ব্যক্ত করছি। দেশের সব মানুষের আর্থসামাজিক তথ্য সংগ্রহে সারা দেশে জনশুমারি করবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।’
মন্ত্রী জানান, শুমারির প্রচার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আগামী ৭ জুন রাষ্ট্রপতি উদ্বোধনী খামসংবলিত স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করবেন। ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় নিয়মিত বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি আগামী ১৫ জুন জনশুমারি বিষয়ে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।
মন্ত্রী তার বিবৃতিতে শুমারি নিয়ে সার্বিক পরিকল্পনা তুলে ধরেন।