সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে নাশকতার সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণার পর এ ঘটনা সারা দেশে আনন্দ-উল্লাস প্রতিহতের অপচেষ্টা কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ সংশয় প্রকাশ করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই ঘটনার তদন্ত চলছে। দেখতে হবে এটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা। কারণ পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণার পর সারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা হচ্ছে। কোনো কোনো জায়গায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় দেশবাসীর দৃষ্টি অন্যদিকে নেয়ার জন্য সীতাকুণ্ডে নাশকতা হয়েছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
তদন্তে বেরিয়ে আসা অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। দগ্ধদের প্রয়োজনীয় রক্তের অভাব হয়নি। যে বডি ফ্লুইড দরকার, সেটিরও কোনো অভাব হয়নি। এত বড় একটা ক্যাজুয়ালিটিতে সেগুলোর অভাব হতে পারত, সবাই এগিয়ে এসেছে বলে হয়নি। ’
স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব সজ্ঞানে কথা বলেছেন কি না আমি জানি না। ওনার ইদানীংকালের কথাবার্তায় মনে হচ্ছে, ওনার একটু চিকিৎসা দরকার। দেশে স্বাস্থ্যব্যবস্থা যদি ভালো না হতো, তবে করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম হতো না, পৃথিবীতে এক নম্বর হতো না।’
‘সীতাকুণ্ডে দুর্ঘটনার পর স্বাস্থ্যকর্মী, ডাক্তার এবং ব্যবস্থাপনাসংশ্লিষ্টরা যেভাবে এগিয়ে এসেছে, তা অভাবনীয়। উনি না দেখে ঠাকুরগাঁওয়ে বসে মুখস্থ বক্তব্য দিয়ে দিলেন। কই, তাদের তো কোনো নেতা ছুটে আসেনি। রক্ত দেয়ার জন্য বা ফ্লুইড দেয়ার জন্য তাদের নেতাকর্মীদের তো দেখা যায়নি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই ছুটে এসেছে।’
কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘কোনো কোনো পত্রিকা ও টেলিভিশনে রিপোর্ট হয়েছে, ডিপোটি নাকি আওয়ামী লীগ নেতা মজিবুর রহমানের। খোঁজ নিয়ে জেনেছি, এই ডিপোর ৫ শতাংশ মালিকানা তার। ৯৫ শতাংশের মালিকানা বাদ দিয়ে ৫ শতাংশের অংশীদারকে মালিক বানানো অপসাংবাদিকতা ছাড়া কিছু না।’