বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আবরার হত্যায় মাজেদের মৃত্যুদণ্ড কেন বাতিল নয়: হাইকোর্ট

  •    
  • ৬ জুন, ২০২২ ১৯:২৭

‘আদালত শুনানি নিয়ে গত ১৭ মে রুল জারি করে। আজ আদেশের সার্টিফায়েড কপি হাতে পেয়েছি। আদালত আদেশে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে রুলের জবাব দিতে বলেছে।’

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় মাজেদুর রহমান মাজেদকে বিচারিক আদালতের দেয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

আদালতে মাজেদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী চৌধুরী মোর্শেদ কামাল টিপু, এ কে খান উজ্জল ও শাহ নাভিল কাশফি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি।

সোমবার হাইকোর্টের আদেশের বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন মাজেদের আইনজীবী চৌধুরী মোর্শেদ কামাল টিপু। তিনি বলেন, ‘আবরার হত্যা মামলায় মাজেদকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে বিচারিক আদালত রায় দিয়েছে। অথচ এ মামলায় মাজেদের বিরুদ্ধে সাক্ষী নেই। কোনো পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যও নেই। এমনকি সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও মাজেদকে দেখা যায়নি। এ হত্যাকাণ্ডে মাজেদের সম্পৃক্ততা কোনোভাবে প্রমাণিত হয়নি। তার পরও বিচারক মাজেদকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দিয়েছেন। রায়ের ক্ষেত্রে বিচারক তার বিচারিক মানসিকতা প্রয়োগ করেননি, যা ন্যায়বিচারের পরিপন্থি। যে কারণে আমরা ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬১-এ ধারায় হাইকোর্টে মাজেদের বিরুদ্ধে রায় বাতিল চেয়ে আবেদন করি।’

৫৬১ এ ধারায় আবেদন করার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘যেহেতু এটি দ্রুত বিচার আদালতের মামলা, সেহেতু ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু ৩০ দিনের মধ্যে আমরা আপিল করতে পারিনি। তার কারণ হলো যেহেতু মাজেদের বাবা নেই। মাজেদই সংসারের বড় ছেলে। ঢাকা শহরে তার কোনো আত্মীয়স্বজনও নেই যে তদবিরকারক হয়ে কেউ হাইকোর্টে আপিল করবেন। যে কারণে ফৌজদারি কার্যবিধির ৬৫১ এ ধারায় গত এপ্রিলে হাইকোর্টে আমরা আবেদন করি।

‘আদালত শুনানি নিয়ে গত ১৭ মে রুল জারি করে। আজ আদেশের সার্টিফায়েড কপি হাতে পেয়েছি। আদালত আদেশে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে রুলের জবাব দিতে বলেছে।’

আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় গত ৮ ডিসেম্বর ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান।

এ রায়ের বিরুদ্ধে ১৭ আসামির জেল আপিল গত ২৬ জানুয়ারি শুনানির জন্য গ্রহণ করে হাইকোর্ট বলে, ডেথ রেফারেন্স এবং সব আপিল একসঙ্গে শুনবে।

গত ৬ জানুয়ারি মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে এসে পৌঁছায়।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরদিন ৭ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ। পাঁচ সপ্তাহ তদন্ত করে তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান ওই বছরের ১৩ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে যে অভিযোগপত্র জমা দেন, সেখানে আসামি করা হয় মোট ২৫ জনকে। এ মামলায় বিচারিক কাজ শেষে রায় ঘোষণা করে আদালত।

এ বিভাগের আরো খবর