ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বাকপ্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার জহিরুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
ময়মনসিংহ মুখ্য বিচারিক ৭ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক নিশাত জাহান চৌধুরী সোমবার বিকেল ৪টার দিকে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত পরিদর্শক প্রসূন কান্তি দাস নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘গত ২৭ মে জহিরুলকে আসামি করে পাগলা থানায় মামলা করেছিলেন ভুক্তভোগী তরুণীর মা। এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলে পুলিশ। পরে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
এর আগে রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাউরাইদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ সদর দপ্তরের একটি দল।
২৪ বছরের গ্রেপ্তার জহিরুল ইসলাম গফরগাঁও উপজেলার বাসিন্দা।
মামলার বরাতে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ সদর দপ্তরের সহকারী পরিচালক স্কোয়াড কমান্ডার আনোয়ার হোসেন জানান, চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি তরুণীর মা ছোট ছেলেকে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। ওইদিন রাতে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে চা খেতে যান মেয়েটির বাবা। এ সুযোগে ঘরে ঢুকে তরুণীকে ধর্ষণ করেন ওই যুবক। তবে কথা বলতে না পারায় মেয়েটি তার পরিবারকে বিষয়টি বোঝাতে পারেনি।
সম্প্রতি ওই তরুণী জন্ডিসে আক্রান্ত হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ২০ মে পরিবার মেয়েটিকে নিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে যায়। চিকিৎসক আল্ট্রাসনোগ্রাফি করানোর পরামর্শ দেন। পরে তার ২২ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জানতে পারে পরিবার।
এ ঘটনায় কারও নাম বলতে না পারায় এলাকার কিছু ছেলের ছবি দেখালে জহিরুল ইসলামকে চিহ্নিত করে বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েটি। এ ঘটনায় পরে মামলা হয়।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘ঘটনাটি আমাদের নজরে এলে আসামিকে গ্রেপ্তারে বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত অভিযান চালানো হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে শ্রীপুর উপজেলার কাউরাইদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।’