বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চেয়ারম্যানের সন্তান হত্যা: ১৯ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ

  •    
  • ৬ জুন, ২০২২ ১৫:৫৮

রাফসানের বাবা সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বয়াতি বলেন, ‘১৮ মে আমাকে হত্যার জন্য বাড়িতে এসে না পেয়ে আমার ছেলে ও স্ত্রীকে গুরুতর জখম করে। আমার ছেলেটা মারাই যায়। আমি সে সময় ঢাকায় থাকায় প্রাণে বেঁচে যাই। এ ঘটনায় ৩০ মে নয়জনের নামে মামলা করলেও পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।’

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় চেয়ারম্যানের শিশুপুত্রকে কুপিয়ে হত্যার ১৯ দিনেও মামলার কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।

শিশু আল রাফসান হত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে সোমবার বেলা ১১টার দিকে থানার সামনে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে স্বজন ও স্থানীয়রা।

এরপর তারা ফরিদপুরের পুলিশ সুপার ও সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়।

রাফসানের বাবা সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বয়াতি বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে আসামিরা আমাকেসহ আমার পরিবারকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল। মামলার ২ নম্বর আসামি নাজমুল ইসলাম বাবু মোল্যা ১৬ মে দুপুরে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। সে জানায়, আমাকে শায়েস্তা করার জন্য চার কোটি টাকা রেখেছে।

‘এরপর ১৮ মে হত্যার জন্য বাড়িতে এসে আমাকে না পেয়ে আমার ছেলে ও স্ত্রীকে গুরুতর জখম করে। আমার ছেলেটা মারাই যায়। আমি সে সময় ঢাকায় থাকায় প্রাণে বেঁচে যাই। এ ঘটনায় ৩০ মে নয়জনের নামে মামলা করলেও পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।’

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সংহতি জানান সদরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আব্দুস সাত্তার ফকির ও যুগ্ম আহ্বায়ক সায়েদিদ গামাল লিপু।

সাত্তার বলেন, ‘মিজানুর রহমান বয়াতি একজন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তাকে না পেয়ে তার শিশু সন্তানকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা ও স্ত্রীকে আহত করা হয়েছে।

‘আমরা এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানাচ্ছি।’

সদরপুর থানার ওসি সুব্রত গোলদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাফসানকে হত্যার পর পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ থাকায় দেরিতে মামলা হয়েছে। পুলিশ এ হত্যা মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে। প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার জন্য জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’

মিজানুর রহমান পরিবার নিয়ে সাতরশি ইউনিয়নের সদরপুর পোস্ট অফিসের কাছে নতুন বাড়িতে থাকেন। সেই বাড়িতেই গত ১৮ মে বিকেলে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় তার ৯ বছরের ছেলে রাফসান ও স্ত্রী দিলজান বেগমকে।

হত্যার ঘটনার ৩ ঘণ্টা পরই মৃত্যু হয় আসামি এরশাদ মোল্লার। পুলিশের ধারণা, তিনি মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কের টাওয়ার থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর