বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবার জাহাঙ্গীর অনুসারীদের নেতৃত্ব কেড়ে নেয়ার উদ্যোগ

  •    
  • ৬ জুন, ২০২২ ১৪:৪৮

নোটিশে বলা হয়েছে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে জাহাঙ্গীর আলমকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কর্তৃক শোকজ ও পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের পরও দলীয় কিছু নেতাকর্মী শৃঙ্খলাভঙ্গ করে প্রকাশ্যে ও গোপনে তার সাথে সভা-সমাবেশে দলীয় পদ-পদবী ব্যবহার করে যোগাযোগ রক্ষা করেছেন। যা দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের শামিল।’

আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের পরও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে সম্পর্ক রাখায় ক্ষমতাসীন দলের দুই শতাধিক নেতাকে চিঠি দেয়া হয়েছে। কেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, সে বিষয়ে সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। সন্তোষজনক জবাব না হলে গঠনতন্ত্রের ৪৭ ধারা অনুযায়ী দল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয়াও হয়েছে।

যাদেরকে এই নোটিশ দেয়া হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের অনুসারী। একটি ঘরোয়া বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে কটূক্তি করেন বলে অীভযোগ উঠার পর গাজীপুর সাম্রাজ্য টলে উঠে তার।

কারণ দর্শানোর নোটিশে জানানো হয়, গত বছরের ৫ ডিসেম্বর গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় ১১ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির রিপোর্টে নোটিশ প্রাপ্তদের দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের প্রমাণ পাওয়া যায়।

নোটিশে বলা হয়েছে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে জাহাঙ্গীর আলমকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কর্তৃক শোকজ ও পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের পরও দলীয় কিছু নেতাকর্মী শৃঙ্খলাভঙ্গ করে প্রকাশ্যে ও গোপনে তার সঙ্গে সভা-সমাবেশে দলীয় পদ-পদবী ব্যবহার করে যোগাযোগ রক্ষা করেছেন। যা দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের শামিল।’

গত রমজান মাসে নিজ গ্রামে সমাবেশ করেন জাহাঙ্গীর

গত ১ জুন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউল্যাহ মন্ডলের সেই করা নোটিশ যারা পেয়েছেন তাদের মধ্যে আছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুর রউফ নয়ন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোকসেদ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান মুজিব, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক এবং ১৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক আসাদুজ্জামান তরুন, দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন মিয়া, সহ-দপ্তর সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আক্কাছ আলী, সিটি কাউন্সিলর আজিজুর রহমান শিরিশ, টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রজব আলী।

নোটিশ পাওয়ার কথা জানিয়ে টঙ্গী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রজব আলী দাবি করেন, বহিষ্কারের পর তিনি জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে কোনো সভা-সমাবেশে অংশ নেননি। জাহাঙ্গীরের সঙ্গে পূর্বের রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণেই শোকজ করা হয়েছে।

৪০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজিজুর রহমান শিরিষ বলেন, ঈর্ষা থেকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে নোটিশ করা হয়েছে।

৩৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আবুল কাশেম বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে আমার সঙ্গে জাহাঙ্গীর আলমের সম্পর্ক ছিল। এটাই আমার অপরাধ।’

যাদেরকে নোটিশ দেয়া হয়েছে, তারা শিগগির বসে করণীয় ঠিক করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দলে প্রত্যেকের ত্যাগ ও অবদান আছে। এই শোকজ নোটিশ আমাদের রাজনৈতিক জীবনে কালি লেপন করে দিয়েছে।’

নোটিশ পাওয়া মজিবুর রহমান মুজিব বলেন, ‘বাপ, দাদার আমল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। শুনেছি অনেককেই শোকজ করা হয়েছে। এসব করে তারা দলে বিভেদ তৈরি করছে। সামনে নির্বাচন, এখন সংগঠিত হওয়ার পরিবর্তে দলে বিভাজন করা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আতাউল্যাহ মন্ডল বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার বিষয়ে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সুপারিশের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হচ্ছে। জবাব সন্তাষজনক না হলে শাস্তি পেতে হবে। তবে সিদ্ধান্ত দলীয় সভায় হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর