চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুসারে সোমবার দুপুর পর্যন্ত মৃতদের মধ্যে পরিচয় শনাক্ত হয়েছে মাত্র ২৫ জনের। সেই হিসেবে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি ১৬ জনের।তাদের পরিচয় শনাক্ত করতে এ দিন সকাল থেকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে বুথ স্থাপন করে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করছে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের বিশেষজ্ঞ দল।সিআইডি চট্টগ্রামের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. শাহনেওয়াজ খালিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা একটা একটা লং প্রসেস। লং বলতে যে ৩১ জন এখানে নমুনা দিয়েছেন তাদের নমুনার ডিএনএ প্রোফাইলিং করতে আমাদের বড়জোর ৩ থেকে ৪ দিন সময় লাগবে।‘কিন্তু মরদেহের যে নমুনা, সেগুলোর প্রোফাইলিং করতে অন্তত ১ মাস সময় লাগবে। তাই এখন পর্যন্ত যাদের পরিচয় শনাক্ত হয়নি, তাদের পরিচয় শনাক্তে অন্তত ১ মাস সময় লাগবে।’
বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুল লাগার পর কেটে গেছে প্রায় ৪০ ঘণ্টা। তবে এখনও নেভেনি আগুন। ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট ও সেনাবাহিনীর একটি কোম্পানি আগুন নেভাতে কাজ করে যাচ্ছে। দীর্ঘ সময়েও আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসার কারণ হিসেবে সেখানে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক পদার্থ থাকার বিষয়টি সামনে এসেছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মনির হোসেন বলেন, ‘সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ দলের সহায়তায় কনটেইনারগুলো খুলে আগুন নেভানোর কাজ চলছে। আমরা এভাবে কাজ করতে পারলে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে আগুন নেভাতে পারব। ইতিমধ্যে আমরা কেমিক্যাল থাকা কয়েকটি কনটেইনার চিহ্নিত করেছি। সেগুলো অপসারণ করার প্রক্রিয়া চলছে।’