চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে পোড়া রোগীদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নেই বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।
সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধদের দেখতে এসে সোমবার চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘এখানে বার্ন রোগীদের চিকিৎসা হচ্ছে। এখানে চিকিৎসকরা আছেন, চিকিৎসাটা ঠিক আছে। কিন্তু কিছু কিছু সুযোগ-সুবিধার অভাব। যেটা এখনও এখানে হয়নি। আমরা যদি প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা দিতে পারি, রোগীদের কিন্তু শিফট করার প্রয়োজন হতো না।
‘আমরা আজকে এখানে আসার উদ্দেশ্যই হচ্ছে রোগীদের ট্রিটমেন্ট প্ল্যান ঠিক করতে। মানে কীভাবে এগুবো, কী করা যায় এই রোগীদের নিয়ে। আমরা কিছু ডিসিশন নিয়েছি, আমাদের একটা কর্মপন্থা ঠিক করেছি। আমরা রোগীদের সঙ্গে কথা বলব, তাদের আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গেও। তারা যদি ঢাকায় যেতে চায়, ঢাকায় নেয়ার ব্যবস্থা করব। আর যারা আছে, তারা আছেই,’ যোগ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দগ্ধ রোগীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বলেছেন জানিয়ে আরও বলেন, ‘একটা কথা বলতে চাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা বদ্ধপরিকর, যেন বার্ন রোগীর চিকিৎসায় কোনো অবহেলা না হয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে যতটুকু সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেয়া দরকার, ততটুকু দেয়া হবে।
‘আমরা এখান থেকে গিয়ে ওনাকে বলব কী করা উচিৎ, উচিৎ না। কোনো রোগী বিনা চিকিৎসা কিংবা ভালো চিকিৎসা পাবে না, সেটা কিন্তু হবে না।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম মেডিক্যালে ১০০ বেডের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট করার কাজ চলছে। আমরা কিন্তু গত ১০ থেকে ১২ বছর ধরে এটার পেছনে কাজ করছি। এটা জায়গা নিয়ে একটা বিভ্রাট ছিল এখানে। সপ্তাহ দুয়েক আগে এখান থেকে চারটা প্রপোজাল পাঠানো হয়েছে।
‘এগুলো হলো গেয়াছি বাগান এলাকায় একটি, প্রধান ছাত্রাবাসের পশ্চিম পাশে একটি, অক্সিজেন প্ল্যান্ট এবং অ্যাকাডেমিক ভবনের পশ্চিম পাশে। এর মধ্যে প্রধান ছাত্রাবাসের পশ্চিম পাশে চায়নারা করতে রাজি হয়েছে।’