চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে ইউনিয়ন সমাজকর্মীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলার আবেদন আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আমলি আদালতের বিচারক হুমায়ন কবীর সোমবার দুপুরে এ নির্দেশ দেন।
বাদীর আইনজীবী আব্দুর রহমান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত মঙ্গলবার দুপুরে সমাজকর্মী শামীম হোসেনের বাবা মো. শামসুদ্দীন ছেলে হত্যার অভিযোগ এনে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আল গালিবসহ চারজনের নামে আদালতে মামলার আবেদন করেন।
আইনজীবী আব্দুর রহমান বলেন, ‘শামীম হোসেনের বাবার মামলার আবেদন আদালত গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
গত ২৫ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সমাজসেবা কার্যালয়ের জানালার গ্রিলের সঙ্গে ফাঁস দেয়া অবস্থায় শামীমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি হত্যা বলে দাবি করেন শামীমের বাবা। এই অভিযোগে তিনি মামলার আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, বিভিন্ন প্রকল্পের ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে না দেয়ায় তার ছেলের সঙ্গে কর্মকর্তা আল গালিবের ঝামেলা চলছিল। অফিস সময়ের বাইরেও তার ছেলেকে দিয়ে কাজ করানো হতো। ঝামেলার জেরে শামীমকে হত্যার হুমকিও দেন ওই কর্মকর্তা। এ নিয়ে বাড়িতে চাকরি ছেড়ে দেয়ার কথাও বলেছিলেন শামিম।
তিনি বলেন, ‘আমার ছেলের পা মাটিতে লেগে ছিল, জানালার গ্রিলে কীভাবে সে আত্মহত্যা করে? এটা হত্যাকাণ্ড। অফিসের লোকজনই এটা করেছে।’
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আল গালিব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মামলার আবেদনে স্বজনরা যে বিষয়গুলো এনেছেন, তারা এটা কেন বলছেন বুঝতে পারছি না। আমার অফিসের সব স্টাফের সঙ্গেই আমার খুব সুন্দর সম্পর্ক, শামীম সাহেবের সঙ্গেও একই রকম। কারও ওপর কোনো বিষয়ে জোর করব আমি এমন নই।
‘প্রকল্পের যে বিষয়টি বলা হচ্ছে, সেটি কী করে হয়? আমার এখানে চলমান বড় কোনো প্রকল্পই নেই। শুধু পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের একটি প্রকল্পের ডাটা এন্ট্রির কাজ শেষ হয়েছে। কেন তারা এসব বলছে বুঝছি না।’