নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্বামী-স্ত্রী হত্যা মামলায় ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল সোমবার দুপুরে এ রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন মো. লোকমান, মো. শফিক, মো. সুমন, মো. আরিফুল, মো. সুমন ও মো. জামাল।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রূপগঞ্জের কয়েল কারখানার শ্রমিক খাদিজা বেগম ২০০৯ সালের ১১ আগস্ট রাত ৯টার দিকে সহকর্মী আমেনার সঙ্গে কারখানা থেকে ফিরছিলেন। গাউছিয়া ঝুটমিলের পেছনে পৌঁছে খাদিজা তার স্বামী মো. রহমানের সঙ্গে বেবিট্যাক্সিতে রওনা দেন।
১৬ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে বোচারবাগ এলাকার একটি ডোবায় কচুরিপানা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় খাদিজা ও রহমানের মরদেহ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় খাদিজার বাবা আনোয়ার মিয়া রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ ওই বছরের ২৭ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিয়ের পাঁচ মাস পর থেকে খাদিজা বেগম ও মো. রহমানের মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। কলহের জেরে রহমান তার স্ত্রীকে পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামিদের কাছে নিয়ে যান। সেখানে প্রথমে তিনি তার স্ত্রীকে ও পরে আসামিরা ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ শেষে খাদিজাকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করা হয়।
এরপর চুক্তি অনুযায়ী রহমান তাদের পাওনা ১০ হাজার টাকা দিতে না পারলে আসামিরা তাকেও গলা কেটে হত্যা করে ওই ডোবার পানিতে ফেলে দেয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রকিবুজ্জামান জানান, ১২ জনের সাক্ষ্য নেয়া শেষে আদালত ছয় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন আদালতে উপস্থিত ছিল। বাকিরা পলাতক।