বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাক্কুর হ্যাটট্রিক নাকি প্রথম পরাজয়

  •    
  • ৬ জুন, ২০২২ ১২:০৯

২০১২ সালে সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে সাক্কু উড়িয়ে দেন প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা আফজল খানকে। ক্ষমতাসীন দলের ডাকসাইটে নেতাকে সাক্কু হারান ৩৫ হাজার ভোটে। ২০১৭ সালে দ্বিতীয় নির্বাচনে আফজলকন্যা ভোটের ব্যবধান ২৪ হাজার কমানোর পর সাক্কু জয় পান ১১ হাজার ভোটে। এবার স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিজামউদ্দিন কায়সার ভোটে দাঁড়িয়ে নতুন সমীকরণ তৈরি করেছেন কুমিল্লায়।

সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে লড়াইয়ে নেমে দুইবার বাজিমাত করা বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু এবার ‘তিনে তিন’ করার স্বপ্নে বিভোর।

অন্যদিকে দুইবার সাক্কুর সঙ্গে তাল মেলাতে না পারা আওয়ামী লীগ এবার আত্মবিশ্বাসী কুমিল্লা নগরীর দখল নিতে।

ক্ষমতাসীন দলের এই আশাবাদের একাধিক কারণ আছে, যার মধ্যে একটি হলো বিএনপিতে বিভেদ।

যদিও দলটি এবারের এই ভোট আনুষ্ঠানিকভাবে বর্জন করেছে, তার পরও সাক্কুর হাত ধরে দলটির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের একটি বড় অংশই প্রাণপণে ভোটের লড়াইয়ে।

এই যে ‘বড় অংশ’, এটিই আওয়ামী লীগের বাজিমাতের অন্যতম আশা। কারণ স্থানীয় বিএনপির অপর অংশ আছে স্বেচ্ছাসেবক দলের পদত্যাগী নেতা নিজামউদ্দিন কায়সারের পক্ষে, যার ভোটে দাঁড়ানোর আসল লক্ষ্য সাক্কু ঠেকাও বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

২০১২ সালে সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে সাক্কু বলতে গেলে উড়িয়ে দেন প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা আফজল খানকে। ক্ষমতাসীন দলের ডাকসাইটে নেতাকে সাক্কু হারান ৩৫ হাজার ভোটে।

সেই নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হয়নি, যেটি হয় ২০১৭ সালে। আফজলের বদলে তার মেয়ে আঞ্জুম সুলতানা সীমার হাতে সে বছর নৌকা তুলে দেয় আওয়ামী লীগ। তিনি বাবার তুলনায় ভোটের লড়াইয়ে ভালো করেন অনেকটাই। তবে ভোটের ব্যবধান ২৪ হাজার কমানোই তার ‘সাফল্য’ হয়ে থাকে। প্রতিদ্বন্দ্বীকে ১১ হাজার ভোটে হারিয়ে সাক্কু পান দ্বিতীয় জয়।

এবার কায়সার যত ভোট পাবেন, সেটি নিশ্চিতভাবেই সাক্কুর বাক্স থেকে কাটা পড়বে । আর এই বিষয়টিই জয়-পরাজয়ের অন্যতম নিয়ামক হয়ে উঠতে পারে।

নির্বাচনি প্রচারে বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু। ছবি: নিউজবাংলা

নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাক্কুর আমলে প্রায় ১৬ বছরে নগরবাসী কাঙ্ক্ষিত সেবা পায়নি। বিশেষ করে যানজট ও জলাবদ্ধতা নিরসনে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন, যা বরাদ্দ এসেছে তার লুটপাট হয়েছে। তাই নগরবাসী এবার পরিত্রাণ চায়। এ কারণে তারা উন্নয়নের প্রতীক নৌকাকে বেছে নেবে।

আওয়ামী লীগ তো দুইবার হেরেছে, এবার কেন জিতবে- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘গত দুইবার যাদের প্রার্থী করা হয়েছিল, তাদের প্রতি মানুষজনের আস্থা ছিল না৷ এবার নৌকার জোয়ার তৈরি হয়েছে।’

সাক্কু আশা করছেন, তার জয় সুনিশ্চিত। তিনি বলেন, ‘আমি মানুষের লাইগ্গা কাম করছি। যে যহন যেই কামে কইছে, হেই কাম করছি। যে ইশতিহার দিছিলাম ৭০ ভাগ কমপ্লিট করছি। মানুষ আমার থাইক্কা সেবা পাইছে। কেউ কইত পারত না আমি কাউরে ফিরাইয়া দিছি। মানুষ এবারও কইতাছে সাক্কু ভাই আমনেরে আমডার দরকার। আমিও মাইনসের লাইগ্গা নির্বাচনে খাড়াইছি।’

‘২০১২ সালে ৩৫ হাজার ভোটে, পরেরবার এসেছেন ১১ হাজার ভোটের ব্যবধানে। অর্থাৎ আগের তুলনায় পরেরবার গ্রহণযোগ্যতা কমেছে। এই ধারাবাহিকতা যদি এবার বজায় থাকে, আবার নিজ দলেরও একজন প্রার্থী আছেন। সব মিলিয়ে আপনার জয়ের পথটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে না?’

এমন প্রশ্নে সাক্কু বলেন, ‘মানুষ যারে ভালো লাগব, তারে ভোট দিব। জোরাজুরির কিচ্ছু নাই। আর ভোট কইম্মা আইলেও সমস্যা নাই। এক ভোট বেশি যে পাইব, তো পাস অইব।’

আরেক আলোচিত প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার দাবি করেছেন, জয় তিনিই পাবেন। তিনি বলেন, ‘নৌকার অবস্থা খুবই খারাপ। সাক্কুর দুর্নীতির অনেক প্রমাণ আছে। মানুষ লুটেরা শ্রেণির কাউকে চায় না। দানবদের কাছে চায় না। দল-মত-নির্বিশেষ সবাই আমাকে পরামর্শ দিচ্ছে। তাদের নির্দেশনায় আমি পরিচালিত হচ্ছি।’

আ.লীগের বিভেদ অপ্রকাশ্য, বিএনপিরটি প্রকাশ্যে

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের দুটি নির্বাচনের ফলাফলের পরই আওয়ামী লীগে আফজল-বাহারের বিরোধের বিষয়টি সামনে আসে।

১৯৯০ সাল থেকেই জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে দুই ডাকসাইটে নেতার বিভেদে ভুগেছে ক্ষমতাসীন দল। জাতীয় নির্বাচনে নানা সময় দেখা গেছে, বাহারকে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিলে আফজল হন স্বতন্ত্র প্রার্থী। আর আফজলকে মনোনয়ন দিলে বাহার করেন বিরোধিতা। স্থানীয় নির্বাচনেও এক পক্ষের কেউ সমর্থন বা মনোনয়ন পেলে অপর পক্ষ করেন বিরোধিতা।

আফজল খানের মেয়েকে মনোনয়ন দেয়ার পর অতীতের সেই বিষয়টি আর আসবে না- এমন আশা করছিল ক্ষমতাসীন দল। কিন্তু ভোট শেষে প্রকাশিত হয়, দুই পক্ষ এককাট্টা হতে পারেনি।

২০২১ সালে আফজল খানের মৃত্যুর পর তার অনুসারীরা এখন দৃশ্যত প্রভাব হারিয়ে ফেলেছে। এই অবস্থায় বাহারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত আরফানুল হক রিফাতের হাতে নৌকা তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন দল।

মনোনয়ন না পেয়ে আফজলের ছেলে মাসুদ পারভেজ ইমরান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। পরে তিনি নৌকার প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন জানিয়ে ভোট থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

দৃশ্যত আওয়ামী লীগে ঐক্য। তবে আসলে কি সবাই একজোট?

বিষয়টি এত সহজে বলা যাচ্ছে না এ কারণে যে, নৌকার মনোনয়ন চেয়ে না পাওয়া সাবেক ছাত্রনেতা নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম, কবির শিকদার ও আনিসুর রহমান এখন পর্যন্ত নিজেদের গুটিয়ে রেখেছেন, যাদের বেশ ভালো সমর্থক গোষ্ঠী আছে বলে ধারণা করা হয়।

যারা মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন তাদের অনুসারীরা যদি বিপক্ষে ভোট দেন অবশ্যই সেই ভোট গিয়ে পড়বে সাক্কুর ব্যালট বাক্সে।

ইতিহাসবিদ আহসানুল কবির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগে গ্রুপিং আছে। বর্তমান সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার ও সংরক্ষিত সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা সীমার মধ্যে বিরোধ আছে। এই গ্রুপিংয়ে সাক্কুর জয়ে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’

বিএনপি এমনিতেই আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট বর্জন করেছে। সাক্কু সিদ্ধান্ত না মানায় তাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারও করা হয়েছে। এটি তার জন্য এক ধাক্কা। তবে তার চেয়ে বড় ধাক্কা নিজামউদ্দিন কায়সারের ভোটে লড়া। তার অনুসারীদের সঙ্গে সাক্কু অনুসারীদের বিরোধ প্রবল।

কুমিল্লা মহানগরে বিএনপি দৃশ্যত দুই ভাগে বিভক্ত। এক অংশের নেতৃত্ব দেন সাক্কু, আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক সংসদ সদস্য আমিনুর রশীদ ইয়াসিন। এই ইয়াসিনের শ্যালক হলেন কায়সার।

সাক্কু ও ইয়াসিনের বিরোধ কুমিল্লার মানুষজনের কাছে খুবই পরিচিত ইস্যু। দুই নেতার দ্বন্দ্বের কারণে দলীয় সভা আলাদা স্থানে হয়ে আসছে সেখানে।

কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো কর্মসূচির ডাক দেয়া হলে সাক্কুর অনুসারীরা দক্ষিণ জেলা বিএনপি অফিসে অবস্থা নেন। অন্যদিকে ইয়াসিন সমর্থকরা একত্রিত হন ধর্মসাগর পাড়ে তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে।

আহসানুল কবির বলেন, ‘কায়সারের মিটিং-মিছিলে বহু মানুষ দেখা গেছে। তাদের কতজন নগরীর ভোটার সেটা অবশ্য বিবেচ্য বিষয়। প্রচার-প্রচারণা এক, ভোটারের প্রার্থী পছন্দ করে ভোট দেয়া আরেক বিষয়। কারণ যে প্রার্থী ফেল করবেন তাকে অনেকেই ভোট দিতে চান না। আর যিনি পাস করবেন বলে ধারণা করা হয়, তিনি কিছুটা খারাপ হলেও অনেক ভোটার তাকে ভোট দেবেন।’

সাক্কুর শক্তি কী ও দুর্বলতাইবা কোথায়

ইতিহাসবিদ আহসানুল কবির মনে করেন, সাক্কুর জয় হবে নাকি পরাজয় হবে, সেটি বলা কঠিন। তিনি বলেন, ‘বেশ কিছু কারণ আছে তার হ্যাটট্রিক জয়ের সম্ভাবনার পেছনে। আবার তার সম্ভাব্য পরাজয়েরও একাধিক কারণ আছে।’

তিনি বলেন, ‘যদি আমরা সাক্কুর জয়ের জন্য কিছু কারণ বলি, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই গত দুইবার মেয়র থাকাকালে তার সুবিধাভোগী একটা শ্রেণি তৈরি হওয়ার বিষয়টি বলতে পারি। তাদের ভোট সাক্কুর পক্ষে যাবে।

‘আবার গত দুইবারের মেয়র হয়ে নগরীর অলিগলি তার চেনা। কোথায় কী করতে হবে সেটা তিনি ভালো জানেন। কীভাবে ভোটারদের মন জয় করতে হয়, তাও তিনি জানেন।

‘কোনো দল দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে সরকারবিরোধী যে স্বাভাবিক একটি মনোভাব থাকে, সেটিও ব্যবহার করতে পারেন সাক্কু। আওয়ামী লীগ ২০০৯ সাল থেকে টানা ক্ষমতায়। এ কারণে সরকারবিরোধী মনোভাব সাক্কুর পক্ষে আসতে পারে। বর্তমান বাজারদরের ঊর্ধ্বমুখিতা একটি বড় কারণ।’

কিছু বিষয় সাক্কুর প্রথম পরাজয়ের কারণ হতে পারে বলেও মনে করেন কুমিল্লা নাগরিক সমাজের এই সদস্য।

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পরে এই প্রথম আওয়ামী লীগ ২৭টি ওয়ার্ডে কমিটি দিয়েছে। নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত। বিশেষ করে বর্তমান মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত হলেন সংসদ সদস্য হাজি আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের একনিষ্ঠ কর্মী। তাই নির্বাচন পরিচালনা করবেন বাহার। কুমিল্লার মানুষজন জানেন, তিনি চমৎকারভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেন। নির্বাচন নিয়ে তার পরিকল্পনা খুবই দূরদর্শী হয়।’

সাক্কু ও নিজাম উদ্দিন কায়সারের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা রিফাতের জন্য আশীর্বাদ হবে বলেও মূল্যায়ন আহসানুল কবীরের।

দুই ইস্যুতে জবাব নেই সাক্কুর

টানা ১০ বছর সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব পালনের আগে ২০০৫ সালের পৌরসভা নির্বাচনেও জয় পেয়েছিলেন বিএনপি নেতা কাজী মনিরুল হক সাক্কুই। তার টানা প্রায় দেড় যুগের নগর পরিচালনায় সাফল্য-ব্যর্থতার বিষয়টি সামনে আসছে। যেসব নাগরিকের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি, সে জন্য এবার প্রশ্নের মুখেও পড়তে হবে তাকে।

সারা দেশে ক্ষমতাসীন হিসেবে আওয়ামী লীগকেই পূরণ না হওয়া নাগরিক সুযোগ-সুবিধার জন্য প্রশ্নের জবাব দিতে হচ্ছে। এদিক দিয়ে আওয়ামী লীগ বরং কুমিল্লায় নির্ভার থেকে ভোটে যাচ্ছে।

ভোটের প্রচারে নেমে সাক্কুর সবচেয়ে বেশি জবাব দিতে হচ্ছে জলাবদ্ধতা ও যানজট ইস্যুতে। গত ১৬ বছর ধরেই কার্যত তিনি নগর পরিচালনার দায়িত্বে। এই দুটি বিষয়ে তার দৃশ্যত কোনো সাফল্য নেই। আর এর পক্ষে তিনি তেমন কোনো যুক্তিও দিতে পারছেন না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জ্যেষ্ঠ নাগরিক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যে লোক পৌরসভার মেয়র থেকে সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে টানা দায়িত্ব পালন করে নগরীর যানজট ও জলজট নিরসনে ব্যর্থ হয়েছেন, তাকে এবার নগরবাসী আর ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন না। ইপিজেডের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণে সদর দক্ষিণের ৯টি ওয়ার্ডের মানুষ ভুক্তভোগী। তাই বিষয়টি এবার ভোটের মাঠে প্রভাব ফেলবে৷’

মেয়র পদে এবার এই তিন প্রার্থী ছাড়াও আছেন আরও দুজন, যাদের নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা নেই। এদের একজন চরমোনাইয়ের পিরের দল ইসলামী আন্দোলনের রাশেদুল ইসলাম এবং তৃতীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান বাবুল।

আগামী ১৫ জুন ভোট হবে কুমিল্লা মহানগরে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রথম এই ভোটে দৃষ্টি থাকবে সারা দেশের। ১০৫টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ২ লাখ ২৭ হাজার ৭৯২ জন ভোটার নির্বাচন করবেন তাদের প্রতিনিধি। এই নির্বাচনেই প্রথমবারের মতো প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা।

এ বিভাগের আরো খবর