সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুনের ঘটনায় প্রাণ হারানো ২২ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি জানান, পরিচয় শনাক্ত হওয়া ২৩ জনের মধ্যে ২২ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন জানান, চমেক হাসপাতাল থেকে রোববার সন্ধ্যার পর বিভিন্ন সময়ে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়।
পরিচয় না মেলা মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষা
বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুনের ঘটনায় পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি ২৩ জনের। তাদের পরিচয় শনাক্তের জন্য চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে স্থাপন করা হয়েছে ডিএনএ সংগ্রহ বুথ। এতে ডিএনএ সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হবে সোমবার।
এ বিষয়ে চমেক হাসপাতালের পরিচালক শামীম আহসান বলেন, ‘সকালে ঢাকা থেকে ফরেনসিক বিভাগের একটি ডিএনএ স্পেশালিস্ট টিম এসে ডিএনএ সংগ্রহ করবেন। যারা তাদের স্বজন নিখোঁজ রয়েছে দাবি করছেন, তাদের বাবা,মা, ভাই, বোন বা ছেলে-মেয়েদের মধ্যে যেকোনো দুজনের ডিএনএ সংগ্রহ করা হবে।’
এর আগে রোববার রাত পৌনে ১১টার দিকে মৃত ব্যক্তিদের দাফন-কাফনের জন্য ৫০ হাজার টাকা এবং আহতদের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বজনদের হাতে তুলে দেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে শনিবার রাতে লাগা আগুনে কমপক্ষে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দগ্ধ ও আহত হয়েছে প্রায় ১৫০ জন।
ঘটনার তৃতীয় দিনেও আগুন জ্বলতে দেখা যায় কিছু কনটেইনারে। পানি না পৌঁছানোয় এসব কনটেইনারের আগুন নেভানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।