বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খাবার নিয়ে হাসপাতালে চবি ছাত্রীরা

  •    
  • ৬ জুন, ২০২২ ০৮:৪৬

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট ড. এ কে এম রেজাউর রহমান বলেন, ‘হলের ছাত্রীরা নিজেরাই আয়োজন করেছে এবং পরামর্শ চেয়েছে। আমি তাদের উৎসাহ দিয়েছি। এমন ক্রান্তিলগ্নে এমনটাই করা উচিত। আমার মনে হয় অন্যরাও এটাকে অনুসরণ করে এগিয়ে আসতে পারে। এই রকম কাজে আমাদের সাহায্যের হাত সব সময় থাকবে।’

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহতদের পাশে দাঁড়াতে সবাই সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। কেউ রক্ত, কেউ অর্থ আবার কেউ খাবার ও ওষুধ নিয়ে এগিয়ে আসছেন।

এবার খাবার রান্না করে আহতদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের ছাত্রীরা। পুরো হলের ছাত্রীরা হাতে হাত লাগিয়ে কাজ করেছে। কেউ টাকা সংগ্রহ করেছেন, কেউ আবার রান্না ও প্যাকিংয়ের কাজ করেছেন। কেউ আবার সেই খাবার ক্যাম্পাস থেকে শহরে গিয়ে রোগী ও স্বজনদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। তাদের সহায়তা করেছেন শিক্ষক ও ছাত্ররা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এর বাইরেও নিজ উদ্যোগে কয়েকজন ছাত্রী খাবার রান্না করে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের আবাসিক ছাত্রী ও ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী আয়েশা আক্তার বলেন, ‘আয়োজনটি শেখ হাসিনা হলের উদ্যোগে করা। প্রক্টর স্যার আমাদের যাতায়াতের জন্য পরিবহন দিয়ে সাহায্য করেছেন। এ ছাড়া ফার্মেসি বিভাগের মোয়াজ্জেম স্যার সাহায্য করেছেন। আমরা আনুমানিক ৮ হাজার টাকা সংগ্রহ করতে পেরেছি। আমরা ক্যাম্পাস থেকে ১০ জন হাসপাতালে রোগীর স্বজন ও ওয়ার্ডে গিয়ে খাবার ও স্যালাইন সরবরাহ করেছি।’

শেখ হাসিনা হলের আরেক ছাত্রী ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিলা তাসনীম লিউজা বলেন, ‘প্রায় ৩০০ জনকে আমরা খাবার দিতে পেরেছি। শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট স্যার আমাদের আর্থিকভাবে সাহায্য করেছেন। সাধারণ শিক্ষার্থীরাও আমাদের সঙ্গে ছিল, তারাও আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। নিরাপত্তায় কয়েকজন ভাইয়াও আমাদের সঙ্গে ছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের ইচ্ছা আছে আরও কিছুদিন খাবার দিয়ে সাহায্য করব। আর শুধু শেখ হাসিনা হলের না, বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো শিক্ষার্থী আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে পারে।’

মানবিক দায়িত্ব থেকেই তাদের এই উদ্যোগ বলে জানান আয়েশা ও লিউজা।

শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট ড. এ কে এম রেজাউর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হলের ছাত্রীরা নিজেরাই আয়োজন করেছে এবং পরামর্শ চেয়েছে। আমি তাদের উৎসাহ দিয়েছি। এমন ক্রান্তিলগ্নে এমনটাই করা উচিত। আমার খুব ভালো লাগছে যে, হলের মেয়েরা এটি সুন্দরভাবে করেছে।

‘আমার মনে হয় অন্যরাও একটাকে অনুসরণ করে এগিয়ে আসতে পারে। এই রকম কাজে আমাদের সাহায্যের হাত সব সময় থাকবে।’

সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে শনিবার রাতে আগুন লাগে। আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও রয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক। বিভিন্ন হাসপাতালে তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন সোমবার সকাল পর্যন্ত নির্বাপণ হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট কাজ করছে সেখানে। ঢাকা থেকে যোগ দিয়েছেন বিশেষ ফায়ার ফাইটাররাও।

এ বিভাগের আরো খবর