সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মৌলবাদীদের রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে নজরদারি করা জরুরি বলে মনে করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি, লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির।
এই গোষ্ঠী কিশোর-তরুণদের লক্ষ্য করে তাদের বিপথে চালিত করে বলে দাবি করেন তিনি।
রোববার বেলা ১১টায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী চক্রান্ত: সরকার ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ডিনস কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয়।
শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘জামায়াত-শিবির তাদের মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক রাজনীতির সঙ্গে সাধারণ মানুষকে যুক্ত করার জন্য স্কুল পর্যায়কে টার্গেট করছে। তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি আমেরিকাতেও পাঠাচ্ছে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য। তারা পঁচাত্তর পরবর্তী সময় থেকেই বিএনপি ও এরশাদকে সমর্থন দিয়ে আসছে, এদেশে তাদের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করার জন্য।’
তিনি বলেন, ‘সবশেষে বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়ার ছত্রছায়ায় জামায়াত দেশে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাম্প্রদায়িক নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এদের কর্মকাণ্ড কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। প্রকাশ্যে নাশকতা করতে ব্যর্থ হয়ে তারা গত কয়েক বছরে ডিজিটাল প্লাটফর্মে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে, যাকে তারা বলছে সাইবার জিহাদ।’
সাইবার জগতে জামায়াত-শিবির ও অন্য মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী অনেক এগিয়ে আছে উল্লেখ করে শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘ডিজিটাল প্লাটফর্ম যেমন ফেসবুক, ইউটিউব ও টুইটারে তাদের শত শত অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে তারা কর্মী সংগ্রহ থেকে শুরু করে সাংগঠনিক কাজকর্ম পরিচালনা করছে। এসব মাধ্যমে ইসলামের নামে বিভ্রান্তি ছড়ানোর পাশাপাশি নাশকতার নানা কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা আদান-প্রদান করছে নিজেদের মধ্যে।
‘এ বিষয়ে কিন্তু আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি আছি তাদের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। আমাদের এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। ধর্মের নামে যাতে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত না করতে পারে সেজন্য কাজ করতে হবে।’
এসব কারণে এই গোষ্ঠীকে নজরদারিতে রাখার দাবি জানান তিনি।
আলোচনা সভায় মাজহারুল ইসলামকে সভাপতি ও তানভীর আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক করে বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি ঘোষণা করে ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি।