সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোয় আগুন লাগার ঘটনায় নিহত ফায়ার সার্ভিসের ৯ কর্মীর একজন মো. আলাউদ্দিন। তার বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিলে।
৪০ বছরের আলাউদ্দীন চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বানশা গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে।
আলাউদ্দীনের বড় ভাই জহির উদ্দিন জানান, তিনি কুমিরা ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন।
জহির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ছয় ভাই, চার বোনের মধ্যে আলাউদ্দীন আমাদের চতুর্থ ভাই। তার ফাহিম নামে ছয় বছরের ছেলে আছে।’
ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মীর মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তার মা ও স্ত্রী তাসলিমা সুলতানা।
জহির বলেন, ‘মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর আলাউদ্দীনের স্ত্রী ও আমার মা বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোয় আগুন লাগার ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ৯ সদস্য এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান।
ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক বার্তায় রোববার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ফায়ার সার্ভিসের গুরুতর দুই কর্মীকে চট্টগ্রাম থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় আনা হচ্ছে।
সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোয় শনিবার রাতে আগুন লাগে। আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও রয়েছেন।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, নিহতদের মধ্যে ২৫ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাকিদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।