চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শনিবার রাতে একটি কনটেইনার ডিপোয় ভয়াবহ বিস্ফোরণে সৃষ্ট আগুনের ঘটনায় রোববার ভোর থেকেই বদলে গেছে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের চিত্র।
একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স এসে থামছে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে।
এসব অ্যাম্বুলেন্সের অধিকাংশের ভেতর থেকেই বের হয়ে আসছে মরদেহ। এর মধ্যে কিছু আগুনে পুড়ে অঙ্গার। কিছু শুধুই মাংসপিণ্ড।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে থাকা পোড়া মরদেহের গন্ধ ছড়িয়েছে বাতাসে। এতে সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ রোগী ও তাদের স্বজনরা। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে আসা গণমাধ্যমকর্মীরাও পড়েছেন অস্বস্তিতে।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভির প্রতিবেদক মো. নাজিম বলেন, ‘আমি মরদেহগুলো দেখার পর থেকে খুব অস্বস্তিতে আছি। আর ইমার্জেন্সি এলাকায় লাশের পোড়া গন্ধের কারণে থাকা যাচ্ছে না। এমনকি এগুলো দেখার পর আমি দুপুরে খেতেও পারিনি।’
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নিউজপোর্টাল সিভয়েস ডটকমের স্টাফ রিপোর্টার দেবাশীশ চক্রবর্তী বলেন, ‘লাশের পোড়া গন্ধ খুবই অস্বস্তিকর। আর এমন বিকৃত পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়া মরদেহগুলো দেখে আমি কিছু খেতে পারছি না। গন্ধ নাকে লেগে আছে।’
অনেকটা একই কথা বললেন ইংরেজি দৈনিক ডেইলি অবজারভারের চট্টগ্রাম প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলাম রবি। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা যেহেতু গণমাধ্যমে কাজ করি, এ ধরনের বীভৎস ঘটনার সাক্ষী প্রায় হতে হয়। এই ঘটনা এতই বীভৎস যে বর্ণনা করা যাবে না। মরদেহগুলো বীভৎসভাবে বিকৃত।
‘আরেকটি কষ্টকর বিষয় হলো মরদেহগুলো এতটাই পুড়ে গেছে যে চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। স্বজনরা আশপাশে কান্না করছেন, অথচ কোনটা কার মরদেহ এটা নিশ্চিত হতে পারছে না। এটা খুবই মর্মান্তিক।’