বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাজারে কম ডিমের দাম, হোটেলে বেশি

  •    
  • ৫ জুন, ২০২২ ১৮:০৯

মাদারীপুরের বিভিন্ন বাজারে শনিবার সকালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে ডিমের দাম। গত সপ্তাহে ১১৫-১২০ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ডিম এখন ১০৫-১১৫ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। ১০০ ডিম আগে বিক্রি হতো ৯৮০ থেকে ১ হাজার টাকা, সেই ডিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৯০০-৯২০ টাকা দরে।

মাসজুড়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া ডিমের দাম কমতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মাদারীপুরের বাজারগুলোয় মুরগির ডিমের দাম কিছুটা কমেছে।

মাদারীপুরের বিভিন্ন বাজারে শনিবার সকালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে ডিমের দাম। গত সপ্তাহে ১১৫-১২০ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ডিম এখন ১০৫-১১৫ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। ১০০ ডিম আগে বিক্রি হতো ৯৮০ থেকে ১ হাজার টাকা, সেই ডিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৯০০-৯২০ টাকা দরে।

পাইকারি ডিমের দোকানে আগে সরবরাহ কম হলেও এখন কিছুটা বেড়েছে। ফলে খুচরা বাজারে আগের চেয়ে কিছুটা কম দামে ডিম বিক্রি করতে পারছেন পাইকাররা।

অনেক খামারিও খুচরা বাজারে ডিম বিক্রি করেন। মুরগির খাবারের দাম ও অন্য জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় ডিমের দাম বেড়েছে বলে বিক্রেতারা দাবি করেছেন।

তবে হোটেল ও রেস্টুরেন্টের চিত্র বদলায়নি। আগে প্রতিটি সেদ্ধ ডিম বিক্রি হতো ২০ টাকা করে। সেই ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা করে। ভাজা ডিমেরও একই অবস্থা। এতে ক্ষোভ রয়েছে ভোক্তাদের।

মাদারীপুর পৌর শহরের ‘আল্লাহর দান’ হোটেলে খাবার খেতে আসা আজিম নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘মাসখানেক আগেও প্রতিটি ভাজা ডিম বিক্রি হতো ১৫-২০ টাকা করে। সেই ডিম গত সপ্তাহ থেকে বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা করে।

‘বর্তমানে ডিমের দাম কমেছে, কিন্তু হোটেল মালিকরা দাম বাড়ালে আর কমাতে চায় না। ফলে তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়াতে হয়। বিষয়টি প্রশাসনের পক্ষ থেকে খেয়াল রাখা উচিত।’

আল্লাহর দান হোটেলের মালিক মিলন মুন্সি বলেন, ‘ডিমের দাম বাড়ছে। যে কারণে আমরাও দাম বেশি নিই। আগে প্রতি শ ডিম আনা হতো ৮৪০-৮৮০ টাকা, সেই ডিম এখন ৯৫০ থেকে হাজার টাকা ধরে আনতে হয়। যে কারণে ভাজা ডিম ২০ টাকা আর মসলা দিয়ে পাকানো ডিম ২৫-৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

‘দাম বাড়ার সঙ্গে আমরাও দাম কমাই-বাড়াই। বরং আগে যে পরিমাণ আয় হতো, সেই পরিমাণে আমাদের আয় নেই।’

মাদারীপুর শহরের পুরান বাজারের পাইকারি ডিম বিক্রেতা আমজাদ হোসেন বলেন, ‘১৫-২০ দিন আগে ডিমের দাম চড়া ছিল, কিন্তু বর্তমানে দাম কিছুটা কমেছে। আমরা খামার মালিকদের কাছ থেকে ডিমও বেশি পাচ্ছি। যে কারণে আমরা দাম কমিয়ে দিচ্ছি।

‘আগে প্রতি শ ডিম ৯৫০ বিক্রি করছি। এখন ৯০০-এর মতো বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে ডিমের দাম কমানো-বাড়ানোর বিষয় আমাদের কিছুই করার নেই।’

মাদারীপুর জেলা ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক জান্নতুল ফেরদাউস বলেন, ‘আমাদের কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হয়। এ ছাড়া আমরা প্রতি সপ্তাহে বাজারে ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করি। যেখানে ন্যায্যমূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্য নেয়া হচ্ছে, সেখানেই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

‘ডিমের বিষয়ে সেভাবে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে আগের চেয়ে কিছুটা দাম কমেছে বলে জেনেছি। তার পরও খোঁজ নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর