বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দারিদ্র্য দক্ষিণ এশিয়ার অভিন্ন শত্রু: প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ৫ জুন, ২০২২ ১৭:৪৪

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর প্রধান শত্রু হচ্ছে দারিদ্র্য। তাই, দারিদ্র্য দূরীকরণে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

দারিদ্র্যকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অভিন্ন শত্রু হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দারিদ্র্য দূর করতে এই অঞ্চলের সব দেশকে একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

গণভবনে রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে আসেন সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কোঅপারেশনের (সার্ক) মহাসচিব এসালা রুয়ান উরাকুন ও তার স্ত্রী। সেখানেই এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সৌজন্য সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর প্রধান শত্রু হচ্ছে দারিদ্র্য। তাই, দারিদ্র্য দূরীকরণে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

এ অঞ্চলের দেশগুলোর পরস্পরকে সহযোগিতা করা উচিত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিপক্ষীয়ভাবেই অনেক সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের পর কলকাতা সফরকালে আঞ্চলিক সহযোগিতার ধারণা দিয়ে সেখানে বক্তব্য রাখেন।

এ সময় সার্কের খাদ্যব্যাংক শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন সংস্থাটির মহাসচিব।

সার্ক এগ্রিকালচার সেন্টারে অবদান রাখায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন তিনি।

শ্রীলঙ্কায় জন্ম নেয়া এসালা উইরাকুন বলেন, তার দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকটের জন্য মহামারিও দায়ী।

এই সংকটকালে শ্রীলঙ্কার প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন তিনি। বলেন, শ্রীলঙ্কার ধান উৎপাদন ৫০ শতাংশ হ্রাস পাওয়ায় এখন দেশটির সার প্রয়োজন।

তার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিপুল জনসংখ্যার দেশ হওয়া সত্ত্বেও এই সংকটকালে শ্রীলঙ্কাকে আলু সরবরাহ করতে পারে বাংলাদেশ।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক খাদ্যসংকটের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ অধিক খাদ্য উৎপাদনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।’

বাংলাদেশি গবেষকরা লবণাক্ততা ও খরাসহিষ্ণু বিভিন্ন প্রজাতির ধান উদ্ভাবনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

অ্যাম্বাসেডর অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

তার আগে ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ঘুরে দেখেন সার্ক মহাসচিব।

এ বিভাগের আরো খবর