বি এম কনটেইনার ডিপোতে দুমড়েমুচড়ে পড়ে আছে আবুল হাশেমের কাভার্ড ভ্যান। তবে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
হাশেমের খোঁজে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এসেছেন তার ছোট ভাই মো. রাসেল।
তিনি জানান, ১৫ বছর ধরে ইলিয়াস ব্রাদার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাভার্ড ভ্যান চালান হাশেম। তার বাড়ি সীতাকুণ্ডের কুমিরা এলাকায়। বিস্ফোরণের আগে হাশেমের সর্বশেষ কথা হয়েছে স্ত্রীর সঙ্গে।
রাসেল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গতকাল বিস্ফোরণের আগে ভাইয়ের সাথে ভাবির কথা হয়েছিল। ভাবিকে বলেছিল গাড়ি নিয়ে ডিপোতে গেছে। আগুন লাগার কারণে মাল লোড করবে না। লক করে চলে যাবে।
‘বিস্ফোরণের পর থেকে ভাইয়ের আর কোনো খোঁজ নাই। ডিপোতে গাড়িটা দুমড়েমুচড়ে যাওয়া অবস্থায় পাওয়া গেছে। ভাইকে পাচ্ছি না। রাত থেকে চট্টগ্রামের সব হাসপাতালে খোঁজ করেছি, মরদেহও পাচ্ছি না। জীবিত হোক, মৃত হোক আমার ভাইকে চাই।’
নিখোঁজ কাভার্ড ভ্যানচালক আবুল হাশেম। ছবি: নিউজবাংলা
রাসেলদের বাড়ি থেকে কনটেইনার ডিপো থেকে ছয় থেকে সাত কিলোমিটার দূরে। সেখান থেকেও তারা বিস্ফোরণের কাঁপুনি ও শব্দ টের পেয়েছেন।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে বি এম কনটেইনার ডিপোতে শনিবার রাত ৯টার দিকে আগুন লাগে। এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের সাত কর্মীসহ আগুনে ৪৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, শনিবার রাত ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় তারা। চট্টগ্রাম ও এর আশপাশের জেলাসহ ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করছে। রাতে বিস্ফোরণ অব্যাহত থাকায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দীর্ঘক্ষণ আশপাশে যেতে পারেননি। এর সঙ্গে যোগ হয় পানির স্বল্পতা।
রাত ১১টার দিকে কনটেইনার বিস্ফোরণ শুরু হয়। এতে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে।